মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার বহুল আলোচিত বৈঠক আজ। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় (স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায়) যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্করিজ শহরে অনুষ্ঠিত হবে এ বৈঠক। তবে দুই বিশ্বনেতার এই আলোচনা থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও এ আলোচনা ২৫ শতাংশ ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনার কথা স্বীকার করেছেন।
নিরাপত্তা উদ্বেগ ও সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে শুক্রবারের এই বৈঠকটি হবে নিকটবর্তী এলমেনডর্ফ রিচার্ডসন মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে। পুরো বৈঠক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা। ট্রাম্প রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতির সময়সীমা ঠিক করে দেওয়ার সাতদিন পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সময়সীমা শেষে নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দেওয়া রয়েছে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে।
আলোচনা ঠিকঠাক হলে খুব দ্রুতই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন ট্রাম্প। যদিও ইউক্রেনকে এই আলোচনায় না ডাকায় জেলেনস্কি কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তার মতে, ‘আমাদের ছাড়া কোনো শান্তিচুক্তি মানেই পুতিনের বিজয়।’
ইউরোপীয় নেতারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যেন ইউক্রেনের কাছে গ্রহণযোগ্য শর্তে যুদ্ধ শেষ করার জন্য মস্কোর ওপর চাপ বাড়ান। এরইমধ্যে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে রাশিয়াকে।
এদিকে, এই বৈঠককে এখনই পুতিনের জয় বলে মনে করছেন রুশ বিশ্লেষকরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা ও বিশ্লেষকেরা শীর্ষ বৈঠকের ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
পুতিনের ঘনিষ্ঠ কূটনীতিক ইউরি উশাকভ বলেন, আলাস্কা ও আর্কটিক অঞ্চলে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থগুলোর মিলন ঘটে এবং এখানে বড় পরিসরের পারস্পরিক উপকারী প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, আলাস্কার এই বৈঠক আপাতদৃষ্টিতে শান্তি আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করলেও বৈঠকটি ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এবং আন্তর্জাতিক শক্তির ভারসাম্যের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।