রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম

আমেরিকা কেন কখনও এফ-২২ র‍্যাপ্টর বিক্রি করেনি?

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম

বিশ্বের প্রথম পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এফ-২২ র‍্যাপ্টর। ছবি- সংগৃহীত

বিশ্বের প্রথম পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এফ-২২ র‍্যাপ্টর। ছবি- সংগৃহীত

লকহিড মার্টিনের এফ-২২ র‍্যাপ্টরকে বিশ্বের প্রথম পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হিসেবে গণ্য করা হয়। আকাশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বা ‘এয়ার সুপ্রিমেসি’ অর্জনের লক্ষ্যেই এটি তৈরি করা হয়েছিল। পুরনো এফ-১৫ ঈগল মডেলের বিকল্প হিসেবে এফ-২২ যুদ্ধবিমান ডিজাইন করা হয়েছিল।

কিন্তু মার্কিন বিমান বাহিনী এখনও পুরনো এফ-১৫-এর উপর নির্ভরশীল। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এফ-২২ র‍্যাপ্টর যুদ্ধবিমানটি কখনো অন্য কোনো দেশের কাছে বিক্রি করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

অবশেষে অত্যধিক ব্যয় এবং পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয়তার অভাবের কারণে এ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছিল। রপ্তানির সুযোগ থাকলে এফ-২২ আরও সাশ্রয়ী হয়ে উঠতে পারত, যেমন রপ্তানি এখন এফ-৩৫ প্রোগ্রামকে সফলভাবে টিকিয়ে রেখেছে। তবু সেসময়ে ঠিক কতগুলো দেশের এফ-২২ র‍্যাপ্টর কেনার মতো বাজেট ও সত্যিকারের প্রয়োজন ছিল, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

২০০৫ সালে প্রথমবার এফ-২২ র‍্যাপ্টর বিমান পরিষেবায় যুক্ত হয়। অল্পদিনের মধ্যেই মহড়ায় এর সাফল্যের খবর আসে। অন্যান্য মার্কিন যুদ্ধবিমান কিংবা মিত্রদের ইউরোফাইটার টাইফুনের মতো যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে এটি বারবার জয়ী হয়। আকাশযুদ্ধে এফ-২২ পরাজিত হয়েছে এমন ঘটনা খুবই বিরল। শুধু একবার, একটি মহড়ায় একজন জার্মান ইউরোফাইটার বন্দুক দিয়ে একটি র‍্যাপ্টরকে লক্ষ্যভেদ করেছিল বলে জানা যায়।

বিশ্বের প্রথম পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এফ-২২ র‍্যাপ্টর। ছবি- সংগৃহীত

পরিষেবায় প্রবেশের সময় র‍্যাপ্টর উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটায়। এতে ছিল স্টিলথ ক্ষমতা ও সেন্সর ফিউশন, যা অসাধারণ পরিস্থিতিগত সচেতনতা তৈরি করে। এর বিমান কাঠামোও অত্যন্ত কার্যকর, ফলে এটি আফটারবার্নার ছাড়াই সুপারসনিক গতিতে উড়তে সক্ষম, যাকে বলা হয় সুপারক্রুজ। যদিও ‘কোবরা ম্যানুভার’-এর কৌশলগত গুরুত্ব বাস্তবে খুব কম, র‍্যাপ্টর সেই মুষ্টিমেয় মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে একটি, যা এই কৌশলটি সম্পন্ন করতে সক্ষম।

এফ-২২ ভিজ্যুয়াল রেঞ্জের ভেতরে এবং বাইরে দুই ধরনের যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। যুদ্ধবিমানটি এক হাজার পাউন্ডের দুটি জিডিইউ-৩২ জেডিডিএএম বা আটটি ২৫০ পাউন্ডের ছোট ব্যাসের বোমা বহন করতে পারে, যা নির্ভুল আঘাত হানার জন্য উপযোগী।

যদিও এটি মূলত আকাশযুদ্ধে সেরা, তবুও আকাশ থেকে ভূমিতে হামলার মিশন পরিচালনা করতেও সক্ষম। আর যদি পুরনো ধাঁচের ডগফাইটে নামতে হয়, তবে এর এম৬১এ২ ২০ মিলিমিটার কামানে ৪৮০ রাউন্ড গুলি মজুত থাকে।

মার্কিন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা

স্যান্ডবক্সএক্স নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ‘ইসরায়েল’, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া বারবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে র‍্যাপ্টর যুদ্ধবিমান কেনার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৮ সালে মার্কিন কংগ্রেস স্পষ্টভাবে আইন করে দেয় যে, এই বিমান বিক্রির জন্য নয়। এফ-২২ র‍্যাপ্টর কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল। এর বিপরীতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরি হয়েছে বিভিন্ন দেশের সহযোগিতায়, যেখানে যুক্তরাজ্য প্রতিটি এফ-৩৫ বিমানের প্রায় ১৫ শতাংশ অংশ তৈরি করে।

বিশ্বের প্রথম পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এফ-২২ র‍্যাপ্টর। ছবি- সংগৃহীত

র‍্যাপ্টরে এমন সব গোপন প্রযুক্তি রয়েছে যা শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নিজের কাছে রাখতে চায়। একবার এই বিমান বিক্রি হয়ে গেলে (জাপান বা অস্ট্রেলিয়ার মতো ঘনিষ্ঠ মিত্রদের কাছেও), তখন এর উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ কমে যাবে। এতে ঝুঁকি রয়েছে যে, প্রযুক্তি ভুল হাতে চলে যেতে পারে কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো দুর্বলতা কাজে লাগাতে শিখে যাবে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের মতে সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো একেবারেই এটি বিক্রি না করা।

শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, অনেক দেশই তাদের সবচেয়ে উন্নত সামরিক সরঞ্জামের রপ্তানি সীমিত রাখে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন যুদ্ধবিমান যেমন বি-২১ রেইডার বা এফ-৪৭ রপ্তানি করা হবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। সাধারণত রপ্তানির ক্ষেত্রে এসব সরঞ্জামের ক্ষমতা কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র মিত্রদের কাছে এফ-৪৭ রপ্তানি করবে, তবে রপ্তানির জন্য এর ক্ষমতা প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে আনা যেতে পারে।

রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা

প্রথমে পেন্টাগন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন থেকে ৭৫০টি এফ-২২ র‍্যাপ্টর কেনার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু শীতল যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে এবং যুক্তরাষ্ট্র বিদ্রোহ দমন অভিযানে বেশি মনোযোগী হতে শুরু করলে ধীরে ধীরে অর্ডার কমানো হয়।

শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৮৭টি র‍্যাপ্টর কেনা হয়। এই যুদ্ধবিমানকে আকাশে আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা বলা হয়, তবে অন্য ধরনের অভিযানে এটি ততটা উপযোগী নয়। বিপরীতে, এফ-৩৫ তৈরি হয়েছে বহুমুখী যুদ্ধবিমান হিসেবে, যা একই সঙ্গে নানা ধরনের মিশনে অংশ নিতে পারে।

উৎপাদিত ১৮৭টি র‍্যাপ্টরের মধ্যে অন্তত পাঁচটি দুর্ঘটনায় নষ্ট হয়েছে। ফলে মার্কিন বিমান বাহিনীর হাতে সর্বোচ্চ ১৮২টি র‍্যাপ্টর রয়েছে। এর মধ্যে আবার ৩২টি প্রশিক্ষণ সংস্করণ, যেগুলো যুদ্ধে ব্যবহার করা যায় না।

স্যান্ডবক্সএক্স নিউজ জানিয়েছে, কার্যত মাত্র ১৩০টি র‍্যাপ্টর যুদ্ধের জন্য বিভিন্ন সময় প্রস্তুত ছিল। তবে বর্তমানে ঠিক কতগুলো সক্রিয় আছে তা গোপন রাখা হয়েছে, ধারণা করা হয় শতাধিক র‍্যাপ্টর একসঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাখা সম্ভব নয়।

বিশ্বের প্রথম পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এফ-২২ র‍্যাপ্টর। ছবি- সংগৃহীত

রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কিন র‍্যাপ্টর বহরে বড় চাপ পড়েছে। পর্যাপ্ত উৎপাদন না হওয়ায় প্রতিটি বিমানের দাম অনেক বেড়েছিল, আর যখন পেন্টাগন অর্ডার বন্ধ করে দেয়, তখন লকহিড মার্টিন উৎপাদন লাইন বন্ধ করে দেয়।

আজ সেই লাইনটি ব্যবহৃত হচ্ছে এফ-৩৫ প্রোগ্রামে। কিন্তু র‍্যাপ্টরের উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় খুচরা যন্ত্রাংশের সংকট তৈরি হয়েছে, ফলে বিমান বাহিনীর পক্ষে সীমিত সংখ্যক র‍্যাপ্টর সচল রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।

ওয়াশিংটন যখন রপ্তানি ভাবছিল, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। ‘ইসরায়েল’, অস্ট্রেলিয়া কিংবা জাপানের মতো দেশগুলো ইতোমধ্যেই বহুমুখী এফ-২৫ কেনার দিকে ঝুঁকেছিল। অধিকাংশ দেশ একসঙ্গে একাধিক উন্নত যুদ্ধবিমান চালানোর সামর্থ্য রাখে না, আর এফ-২২ কেবল আকাশে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য তৈরি হওয়ায় সেটি আরও সীমিত হয়ে পড়ে।

অন্যদিকে এফ-৩৫ তাদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়েছে, কারণ এটি একই সঙ্গে আকাশে শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করা, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করা এবং নানা ধরনের আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে।

আজ বহু দেশ এফ-৩৫ অর্ডার করছে, আর এ থেকেই যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হচ্ছে। কারণ বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা উৎপাদন লাইন সচল রাখছে, যার ফলে মার্কিন বিমান বাহিনী, মেরিন কর্পস ও নৌবাহিনীও সহজে নতুন খুচরা যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি পাচ্ছে।

‘ইসরায়েল’, জাপান কিংবা অস্ট্রেলিয়া হয়তো র‍্যাপ্টর পেতে চাইত, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এফ-৩৫-ই প্রমাণ করেছে যে এটি আকাশে শ্রেষ্ঠত্বের কাজও করতে পারে। সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানে ‘ইসরায়েল’ সেটি দেখিয়েছে। ইরান তখন উন্নত রাশিয়ান নির্মিত এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছিল, কিন্তু তবুও এফ-৩৫ সহজে সেই প্রতিরক্ষা ভেদ করে আকাশের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

রপ্তানি বিধিনিষেধের বিভিন্ন স্তর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব যুদ্ধবিমানই কোনো না কোনো রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকে। সাধারণত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিমানগুলোর প্রযুক্তি পুরোনো হলে এবং সংবেদনশীলতা কমে গেলে এসব নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। একসময় আমেরিকা লাতিন আমেরিকার কোনো দেশকেই এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন বিক্রি করত না।

কিন্তু পরে নীতি বদলে ভেনেজুয়েলা ও চিলিকে ওই জেট বিক্রি করে। বর্তমানে তারা প্রায় সব মিত্র বা অংশীদার দেশকে এফ-১৬ দিতে রাজি।

তবে এফ-১৫ রপ্তানিতে আমেরিকা অনেক বেশি সতর্ক ছিল। কার্টার প্রশাসনের সময় এ সিদ্ধান্ত হয় যে, ন্যাটো জোটের বাইরের কোনো দেশ কিংবা জাপান, ‘ইসরায়েল’ ও অস্ট্রেলিয়ার মতো ঘনিষ্ঠ মিত্র ছাড়া অন্য কাউকে এফ-১৫ দেওয়া হবে না। ছোট এফ-১৬ এর তুলনায় এফ-১৫ আকারে বড়, বেশি দামি এবং অনেক বেশি সক্ষম।

শেষ পর্যন্ত জাপান ও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশই এফ-১৫ কিনতে পেরেছিল। অন্যদিকে ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেদের বিমান কর্মসূচি, যেমন ইউরোফাইটার টাইফুন ও ডাসল্ট রাফালে, বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের কাছে ব্যাপকভাবে রপ্তানি করা হচ্ছে, তবে এখানেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কোনো চুক্তি হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি দেশে এই জেট বিক্রিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, যেমন তুরস্ক, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, কাতার প্রভৃতি।

বিশ্বের প্রথম পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এফ-২২ র‍্যাপ্টর। ছবি- সংগৃহীত

তবুও ট্রাম্প প্রশাসনের সময় আরও বেশি দেশকে বিক্রির দিকে আমেরিকা কিছুটা আগ্রহী হয়। তবে সব ক্ষেত্রেই কঠোর শর্ত থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিকত্বধারী পাইলটরা এফ-৩৫ চালাতে পারে না।

ভবিষ্যতে এফ-২২ র‍্যাপ্টর রপ্তানি করবে?

এফ-২২ র‍্যাপ্টরের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা একদিকে যুক্তরাষ্ট্রকে তার সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করেছে, অন্যদিকে এই নিষেধাজ্ঞাই প্রকল্পটিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। কারণ রপ্তানি না থাকায় পর্যাপ্ত অর্থ ও অর্ডার পাওয়া যায়নি, যা প্রকল্প চালিয়ে যাওয়াকে কঠিন করে তোলে। অর্থাৎ এটি ছিল এক ধরনের পরিকল্পিত বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদিও অন্যান্য যুদ্ধবিমান বিক্রি করে, তবে কার কাছে বিক্রি করবে সে বিষয়ে এখনো বেশ বেছে চলে। পুরনো এফ-১৬ নিয়ে তারা অনেকটাই নিশ্চিন্ত, কিন্তু এফ-৩৫ নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক। এই বিমানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোকে কোনো পরিবর্তন করার সুযোগ দেয় না; না বিমানের কাঠামোতে, না এর সফটওয়্যারে।

আরও কঠোরভাবে, তারা অনুমতি দেয় না যাতে এফ-৩৫ উন্নত রাশিয়ান বা চীনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছাকাছি পরিচালিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা চীনের তৈরি হুয়াওয়ে ৫জি নেটওয়ার্কের কাছে এ বিমান পরিচালনার অনুমতি নেই, কারণ এতে গোপন তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি থাকে।

পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ এবং রাশিয়ার সু-৫৭ বিশেষভাবে রপ্তানির জন্যই তৈরি করা হয়েছিল। তবে বাস্তবে রাশিয়ার সু-৫৭ মাত্র একজন ক্রেতা পেয়েছে আলজেরিয়া। অন্যদিকে, এফ-৩৫ কেনার জন্য দেশগুলোর তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।

বিপরীতে, যুক্তরাষ্ট্র তার এফ-২২ র‍্যাপ্টর এবং চীন তার জে-২০ মাইটি ড্রাগন দুটোই রপ্তানিতে নিষিদ্ধ করেছে। এদিকে আলোচনা চলছে যে চীন তাদের নতুন জে-৩৫ যুদ্ধবিমান আন্তর্জাতিক বাজারে আনবে, যা সম্ভবত এফ-৩৫ কিনতে অক্ষম দেশগুলোর জন্য বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে।

Link copied!