চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন এক হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা। এ মন্তব্যের মাধ্যমে মস্কো থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে দিল্লির ওপর চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বুধবার ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এই মন্তব্য করেন মার্কিন বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কেনার কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক, যা যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী রাশিয়ার যুদ্ধ তহবিলের প্রধান উৎস।
অন্যদিকে ভারত ট্রাম্প প্রশাসনের এই অতিরিক্ত শুল্ককে ‘অন্যায্য’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, তারা জনগণের স্বার্থে সাশ্রয়ী মূল্যে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে। বর্তমানে ভারতের মোট তেলের ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে, যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির আগে ছিল ২ শতাংশেরও কম।
নাভারো ব্লুমবার্গ টিভিকে বলেন, ‘ভারতের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভারতের উচ্চশুল্কের কারণে কর্মসংস্থান, আয়, সবকিছু ক্ষতির মুখে। আর শেষ পর্যন্ত করদাতাদের অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে মোদির যুদ্ধের পেছনে।’ সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করেন তিনি কি ‘পুতিনের যুদ্ধ’ বোঝাতে চেয়েছিলেন, তখন নাভারো বলেন, “না, আমি ‘মোদির যুদ্ধ’ বলেছি।”
ভারতীয় সরকারের অভিযোগ, চীন বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর একই ধরনের শুল্ক আরোপ করেনি যুক্তরাষ্ট্র, যারা রাশিয়ার বড় ক্রেতা।
এদিকে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারত এবং বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত একসঙ্গে কাজ করবে।’