শত শত ক্যাফে বন্ধ করাসহ প্রধান কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় কর্মী ছাঁটাই করছে স্টারবাকস। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাকে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিকোল জানান, চলতি মাসেই শত শত দোকান বন্ধ হয়ে যাবে, যা মোট শাখার প্রায় ১ শতাংশ। জুনের শেষে উত্তর আমেরিকায় স্টারবাকসের মোট শাখা ছিল ১৮ হাজার ৭৩৪টি। সেপ্টেম্বর শেষে এই সংখ্যা নেমে আসবে ১৮ হাজার ৩০০-তে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, পুনর্গঠনের এ প্রক্রিয়ায় ব্যয় হবে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার। তবে প্রি-মার্কেট লেনদেনে কোম্পানির শেয়ারের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এক চিঠিতে নিকোল লিখেছেন, স্টারবাকস তাদের শাখাগুলোর কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করেছে। যেসব দোকান কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ দিতে ব্যর্থ কিংবা আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেগুলোই বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি বড় ধরনের পদক্ষেপ, যা আমাদের অংশীদার এবং গ্রাহকদের প্রভাবিত করবে। আমাদের কফি হাউসগুলো স্থানীয়দের কেন্দ্রবিন্দু। তাই কোনো শাখা বন্ধ করা আমাদের জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত।’
কোম্পানির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, অর্থবছরের শেষ নাগাদ আবারও প্রবৃদ্ধির পথে ফিরবে স্টারবাকস। একই সঙ্গে এক হাজারেরও বেশি শাখা সংস্কার করা হবে।
শুধু দোকান বন্ধ নয়, স্টারবাকস আরও ৯০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণাও দিয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রায় এক হাজার জনকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। শুক্রবার থেকে এ সংক্রান্ত নোটিশ হাতে পাবে কর্মীরা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের জন্য থাকবে ‘ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা প্যাকেজ’। এ ছাড়া, খালি থাকা অনেক পদও বাতিল করা হবে।
নিকোল বলেন, ‘আমরা জানি এ সিদ্ধান্ত আমাদের অংশীদার এবং তাদের পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলবে, তবে স্টারবাকসকে আরও শক্তিশালী ও টেকসই করে গড়ে তুলতে এ পদক্ষেপ জরুরি।’
প্রায় এক বছর আগে স্টারবাকসে যোগ দেন ব্রায়ান নিকোল। লক্ষ্য ছিল কফি চেইনটিকে আবারও দাঁড় করানো। কিন্তু আর্থিক ফলাফল এখনো সেভাবে দেখা যায়নি। কোম্পানির শেয়ার প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে, বিক্রিও বাড়েনি।
এই সময়ে নিকোল মেনু থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ আইটেম বাদ দিয়েছেন। পাশাপাশি নতুন আইটেম যোগ করেছেন, যেমন প্রোটিন টপিংস ও নারিকেলের পানি।