ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা। ছবি- সংগৃহীত

বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের নাগরিকের ওপর নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি)। মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নোয়েম বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রেসিডেন্ট নিয়মিত এসব দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন।’

তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা মূলত নিরাপত্তা ও অভিবাসন নীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। তবে নোয়েম কোনো দেশের নাম প্রকাশ করেননি।’

নিষেধাজ্ঞার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নোয়েম বলেন, ‘যদি কোনো দেশ স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে না পারে বা নিজেদের সক্ষমতা ছাড়া টিকে থাকতে না পারে, তাহলে সেই দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যৌক্তিক হবে না। আমাদের নাগরিকরাই বা কেন সেসব দেশে যাবে?’

এটি এসেছে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে আফগান শরণার্থীর গুলিতে মার্কিন ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার পর। ওই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

১৯টি দেশের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, বুরুন্ডি, শাদ, কিউবা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লাওস, লিবিয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন।

নিষেধাজ্ঞার এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং অভিবাসন নীতি রক্ষার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকাকালীন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আগ্রহী নাগরিকদের জন্য কঠোর প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিকে আরও কঠোর এবং নিয়ন্ত্রণমূলক রূপ দিচ্ছে। বিশেষত নিরাপত্তা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনকে কেন্দ্র করে এমন সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।

এ ছাড়াও, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বাণিজ্যিক কার্যক্রমেও প্রভাব পড়তে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিষয়টি ‘দেশীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকার’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।