ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুম শুরু

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গা জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড চিনিকলের ৮৮তম আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় চিনিকলের কেইন ক্যারিয়ারে আখ ফেলার মধ্য দিয়ে ২০২৫-২৬ মৌসুমে আখ মাড়াই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অন্তর্বতী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। 

এর আগে, চিনিকলের কেইন কেরিয়ার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। 

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

কেরু সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৭২ দিনে ৭৬ হাজার ম্যাট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ২৫৬ ম্যাট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৬ ভাগ। প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার টন আখ মাড়াই করবে চিনিকলটি। মিল জোনে এবার দণ্ডায়মান আখ রয়েছে ৫ হাজার একর জমিতে।

উল্লেখ্য, চিনি উৎপাদন কারখানা, ডিস্টিলারি, জৈব সার কারখানা, বাণিজ্যিক খামার ও ওষুধ কারাখানার সমন্বয়ে গঠিত দেশের অন্যতম বৃহৎ এ শিল্প কমপ্লেক্সের চিনি কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে লোকসান গুনে আসছে। তবে সরকারিভাবে চিনির মূল্য বৃদ্ধির কারণে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে চিনি কারখানাটি।

এদিকে প্রায় ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে মিলস হাউজে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করে চিনিকলটি আধুনিকায়নের কাজ শেষ পর্যায়ে। বিপুল অঙ্কের এই প্রকপ্লটি চালু হলে আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়বে। তবে এলাকায় আখ চাষের পরিমাণ কমতে থাকায় সংকটে পড়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী এ চিনিকলটি।

২০২৫-২৫ অর্থবছরে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি নিট মুনাফা করেছে ১২৯ কোটি টাকা। ডিস্টিলারি ইউনিটে মুনাফা করেছে ১৯০ কোটি টাকা, জৈব সার কারখানায় মুনাফা করেছে ৭৮ লাখ টাকা, বাণিজ্যিক খামার থেকে মুনাফা হয়েছে ৬৮ লাখ টাকা ও ওষুধ কারাখানা থেকে মুনাফা করেছে ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

পাঁচটি ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ৪টি ইউনিটে মুনাফা করলেও চিনি ইউনিটে লোকসান হয়েছে ৬২ কোটি টাকা। এ ছাড়া চলতি বছর ১৪০ কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব কোষাগারে জমা দিয়েছে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি।