নতুন করে মর্কিন ট্যারিফ নির্ধারিত হয়েছে ২০ শতাংশ, যা তিন মাস আগে নির্ধারিত ছিল ৩৫ শতাংশ। ট্যারিফ যদি ৩৫ শতাংশ থাকত, তাহলে শঙ্কা ছিল। আমাদের ব্যবসা অন্য দেশে চলে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল, এখন তা নেই।
কারণ, আমাদের ট্যারিফ আর অন্যদের ট্যারিফ এখন সমান। প্রতিবেশী দেশ ভারতের ট্যারিফ আমাদের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। মার্কিন ট্যারিফ নীতির ফলে প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে বায়ার হান্টিং শুরু হতো। এতে একটা শঙ্কা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এখন এই শঙ্কা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে গেল।
ট্যারিফ কমানোর ফলে এখন যদি অবকাঠামো, গ্যাস সরবরাহ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যাংকের সুদের হার সঠিক রাখা যায়, তাহলে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে। ২৫ শতাংশ পাল্টা ট্যারিফ আরোপের ফলে ওয়েটেড অ্যাভারেজ ট্যারিফ ৩৬ শতাংশে দাঁড়াবে, যা আগে ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ ছিল।
তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাবসায়িক সক্ষমতা আরও বাড়বে বলে মনে করি। কেননা, আমাদের তুলনায় তাদের মার্কিন ট্যারিফ বেশি। ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ এবং মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট।
লেখক: সভাপতি, বিজিএমইএ
আপনার মতামত লিখুন :