বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘চীন বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাতে ডাম্পিং করলে বাংলাদেশ অবশ্যই অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করবে। চীনের ওপর যতই নির্ভরতা থাকুক, যদি চীন এমনটা করে থাকে, আমরা অবশ্যই অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করব।’
ঢাকার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ‘অর্থনীতিতে প্লাস্টিক খাতের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় গতকাল বুধবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্য সচিব। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের চীনের ডাম্পিং করার বিষয়ে কোনো প্রমাণ থাকলে তা উপস্থাপন করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্লাস্টিক খাতের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে প্লাস্টিক খাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এর উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্লাস্টিক খাতে চীনের ডাম্পিংয়ের কারণে আপনারা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, সেই তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে উপস্থাপন করুন। সঠিক তথ্য-প্রমাণ থাকলে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারব। এর আগে সুতার ক্ষেত্রে আমরা শুনেছি, এখন প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে শুনলাম, আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
প্লাস্টিক খাতে সহায়তার ব্যাপারে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমরা হয়তো নগদ সহায়তা দিতে পারব না। শুল্ক সহায়তাও বেশি দিন দেওয়া যাবে না। তবে বিকল্প কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়, সে বিষয় নিয়ে আমরা ভাবছি। নতুন প্রশিক্ষণকেন্দ্র বা ডিজাইনের ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য আমরা সহায়তা করতে পারব। আপনারাও এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণকেন্দ্র করতে চাইলে আমরা ও উন্নয়ন সহযোগীরা আপনাদের পাশে থাকব।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে মেঘনা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘চীন আগে ভারতে পিভিসি ও পিইটি প্লাস্টিক রপ্তানি করত। কিন্তু সেখানে আর রপ্তানি করতে পারছে না। এখন তারা বাংলাদেশে প্লাস্টিক ডাম্পিং করছে। তাই আমাদের সহযোগিতা করা না হলে সামনে এগোতে পারব না।’
স্বাগত বক্তব্যে প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর প্লাস্টিকসহ অন্যান্য স্থানীয় শিল্পে সুরক্ষা প্রয়োজন। নয়তো আমরা টিকতে পারব না। প্লাস্টিক এখন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন