টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে এক যুবককে বিবস্ত্র করে পেটানোর পাশাপাশি এক গৃহবধূকেও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ-সংক্রান্ত দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার একটি গ্রামে। গত শুক্রবার ওই ভিডিও দুটি ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি পরিহিত এক যুবককে ঘরের আলমারি থেকে কয়েকজন টেনে বের করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারছেন। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। এ সময় গৃহবধূকেও বেধড়ক পেটানো হচ্ছিল। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সবার কাছে ক্ষমা চাইছিলেন।
পরে দেখা যায়, যুবকটিকে ঘরের বিছানায় শুইয়ে রাখা হয় এবং কম্বল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এক বয়স্ক ব্যক্তি ও এক নারী মারধর বন্ধের অনুরোধ করেন এবং গামছা পরিয়ে তাকে পাশের কক্ষে নিয়ে যান। ভিডিওতে উপস্থিতদের মধ্যে একজনকে ঘটনাটি স্পষ্টভাবে ধারণ করতে বলতেও শোনা যায়।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুবক ও গৃহবধূকে ঘরের বারান্দায় জানালার পাশে একত্রে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। বারান্দার গ্রিলের বাইরে থেকে এক ব্যক্তি টর্চের আলো জ্বালিয়ে রাখছেন এবং অন্যজন বেঁধে রাখার দৃশ্য ভিডিও করছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমেই তিনি বিষয়টি জেনেছেন। রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন দেওয়ান জানান, তিনি এ ধরনের একটি ঘটনার খবর পেয়েছেন। তাকে কোনো পক্ষই কিছু বলেনি।
মির্জাপুরের বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দোষীরা শাস্তি পাবে এবং নিরপরাধরা ন্যায়বিচার পাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন