মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০১:৩০ এএম

থাইল্যান্ডে সিকদার পরিবারের ৭ কোম্পানির সম্পদ  অবরুদ্ধের আদেশ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০১:৩০ এএম

থাইল্যান্ডে সিকদার পরিবারের ৭ কোম্পানির সম্পদ  অবরুদ্ধের আদেশ

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের তিন সন্তান নানা কা-ে আলোচিতÑ রন হক সিকদার, রিক হক সিকদার ও পারভীন হক সিকদারের নামে থাইল্যান্ডের সাত কোম্পানিতে থাকা বিনিয়োগ অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।

থাইল্যান্ডে সিকদার পরিবারের এসব কোম্পানির সম্পদের পরিমাণ ৩৫ কোটি ৩০ লাখ থাই বাথ। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান তা জব্দের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার, তার পরিবার ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সরকারি অর্থ তছরুপ, ঘুষ গ্রহণ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় সাত সদস্যের একটি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক। তদন্ত চলাকালে অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা বিদেশে অবস্থিত তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। এতে তদন্ত প্রক্রিয়া বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের স্বার্থে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সিকদার পরিবারের মালিকানাধীন এসব সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

সিকদার পরিবারের গড়া সিকদার গ্রুপের ব্যবসা ছড়িয়ে আছে ব্যাংক ও বিমা, বিদ্যুৎ, ইকোনমিক জোন, এভিয়েশন, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো নানা খাতে। সহযোগী কোম্পানির মধ্যে রয়েছেÑ পাওয়ার প্যাক পোর্টস, পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোন, সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, পাওয়ার প্যাক হোল্ডিংস, সিকদার রিয়েল এস্টেট ও মাল্টিপ্লেক্স হোল্ডিংস।

জয়নুল হক সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি মারা যান। তার ছেলে রন হক ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে ২০২৪ সালের এপ্রিলে রন হক সিকদার ও তার ভাই রিক হক সিকদারের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে দুটি মামলা করে দুদক। রন হক এর আগে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। রন ও রিকের বিরুদ্ধে দুদকের অর্থপাচারের মামলা ছাড়াও কোভিড মহামারির সময়কার প্রণোদনার ঋণের ৪০৪ কোটি টাকা আত্মসাতে সহায়তার অভিযোগে সিকদার পরিবারের চার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। চলতি বছরের ২৫ মে করা সেই মামলায় সিকদার পরিবারের মনোয়ারা সিকদার, পারভীন হক সিকদার, রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদারকে আসামি করা হয়। তারা ওই সময় ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!