- প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক
- বছরে সরকারি প্রায় ১৪ লাখ সিলিন্ডার বিক্রি করা হলেও গ্রাহক তা পেত না
সরকারি সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রিতে শতকোটি টাকা লুটপাটের প্রাথমিক সত্যতা খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বিরুদ্ধে বছরে শতকোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
এর আগে, চলতি বছরের ৬ মে সিলিন্ডারজাত সরকারি এলপি গ্যাস বিক্রয়ে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিপিসি কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযানে অনিয়ম ও গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে বলে জানায় দুদক।
দুদকের তদন্ত দল জানায়, বছরে সরকারি প্রায় ১৪ লাখ সিলিন্ডার বিক্রি করা হলেও গ্রাহক তা পেত না। সিন্ডিকেট করে এ সিলিন্ডারগুলো বিক্রি হতো। গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহের দায়িত্বে থাকা পদ্মা ও যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি। দুর্নীতি করতেই বিপিসির কর্মকর্তারা সরকারি সিলিন্ডারের প্রচারণা করতেন না।
কয়েক বছর ধরে দেশে চলছে তীব্র গ্যাস সংকট। ফলে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাইনের গ্যাসের বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছে এলপিজি সিলিন্ডার। বর্তমানে দেশে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে তিন কোটি এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে, যা গৃহস্থালি, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, শিল্প এবং পরিবহন খাতে ব্যবহৃত হয়।
২০২১ সাল থেকে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সৌদি কার্গো মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এলপিজি সিলিন্ডারে দাম নির্ধারণ করে আসছে। সবশেষ ৪ মে নতুন দর অনুযায়ী ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৩১ টাকা। আর সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৯০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮২৫ টাকা নির্ধারণ করে। বাজারে এ দামে বিক্রির কথা থাকলেও ভোক্তার কাছে পৌঁছায় না।
দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, ‘ভুয়া ডিলার হিসেবে, ভুয়া লাইসেন্স ব্যবহার করে অথবা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা এনপি গ্যাস লিমিটেড থেকে বের করে নিয়ে সে। বা এই চারটা যে ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিষ্ঠান আছে তাদের মাধ্যমে বের করে নিয়ে আসে। নিয়ে সে তারা এগুলোকে ক্রসফেইলিং করে। সরকারি যে বোতল, আমরা সিলিন্ডার যেটা বলি সেখান থেকে বেসরকারি সিলিন্ডারগুলো আছে সেখানের বিভিন্ন ব্যান্ড নেম বা লোগো ব্যবহার করে সেগুলোতে সাপ্লাই করে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন