মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০১:৩৯ এএম

নরসিংদীতে বিরোধের জেরে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০১:৩৯ এএম

নরসিংদীতে বিরোধের জেরে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সাদেক মিয়া নামে এক যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সাদিক ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এদের মধ্যে ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাদেক মিয়া মুরাদনগর গ্রামের রূপ মিয়ার ছেলে। 

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুমের সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ আলমের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। 

চলতি মাসের ১৮ তারিখ আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদ আলী ও তার গ্রুপের সদস্যরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ আলমের সমর্থন নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে। ওই সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইদন মিয়া নামে একজন নিহত হন। এরপর থেকে অ্যাডভোকেট আসাদ আলীর সমর্থকরা এলকায় অবস্থান করছিলেন। এরই মধ্যে গতকাল সকালে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে অলোকবালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক মিয়া নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এলাকায় গিয়ে আবারও প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এ সময় ফেরদৌসি আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। 

নরসিংদী পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। আজকের (গতকাল) ঘটনাটি ঘটেছে এ এলাকাটি পুলিশ ক্যাম্পের অনেকটা দূরে। গুলির শব্দ শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে তাদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। 

নরসিংদী মডেল থানার ওসি ইমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় অবস্থান করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!