মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৫, ০২:০৬ এএম

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৫, ০২:০৬ এএম

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে জেলেদের  চাল আত্মসাতের অভিযোগ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেনের বিরুদ্ধে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি চাল আত্মসাৎ ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নে নিবন্ধিত ২ হাজার ২৭০ জন জেলের প্রত্যেককে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। রোববার সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে প্যানেল চেয়ারম্যান মো. অলিউল ইসলাম রুবেল চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

তিনি জানান, ইউনিয়নের মোট বরাদ্দ অনুযায়ী ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেনের কাছে ৩১০ জন জেলের জন্য ১৫৫ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি) চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে, তিনি এর মধ্যে ১৪ বস্তা (২৮ জনের বরাদ্দ) চাল আত্মসাৎ করেন এবং আরও ৬ বস্তা (১২ জনের বরাদ্দ) ‘কেরিং খরচ’ দেখিয়ে বিক্রি করে দেন।

স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পারলে, মোশারেফ হোসেন নানাভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং টাকা-পয়সার প্রলোভনও দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

৬নং ওয়ার্ডের রিকশাচালক জালাল বলেন, ‘আমার রিকশায় মোশারেফ মেম্বার ও বারেক ফকির ৬ বস্তা চাল তুলেছেন। বলেছেন, এক বস্তা ঢালি বাড়িতে দিতে, বাকিটা ফকির বাড়িতে রাখতে। আমি ভাড়ার বিনিময়ে চাল টেনেছি।’ ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বারেক মিয়া বলেন, ‘অনেকে চাল নিতে আসেনি। মেম্বার আমাকে বলেছে, এই আট বস্তা চাল রাখতে। আমি পাহারা দিচ্ছি, সে এসে যা করার করবে।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘চাল বিতরণের সময় প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কেরিং খরচ সরকারি ভাবে দেওয়া হলেও পিআইও বা চেয়ারম্যান আমাদের সে টাকা দেন না। তাই আমি ৬ বস্তা চাল বিক্রি করেছি কেরিং খরচ মেটাতে।’

সমাজসেবা কর্মকর্তা (প্রশাসক) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। নিয়ম অনুযায়ী ৯নং ওয়ার্ডে চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি বিক্রির ঘটনা সত্য হয়, তাহলে ইউএনওকে অবহিত করা হবে।’

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, ‘রনগোপালদী ইউনিয়নে জেলে চাল বিতরণের কেরিং খরচের সব তথ্য ও ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে। ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে কেউ এই টাকা তোলেনি। মোশারেফ হোসেনের দাবি সম্পূর্ণ মনগড়া। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে কথা হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান বলেন, ‘আজ রনগোপালদী ইউনিয়নে জেলে চাল বিতরণ হয়েছে। ইউপি সদস্যের চাল বিক্রির অভিযোগ আপনার মাধ্যমে জানলাম। সরকারি চাল আত্মসাৎ বা বিক্রি করা গুরুতর অপরাধ। কেউ যদি এমন কাজ করে থাকে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!