আসন্ন ১৪তম সাউথ এশিয়ান গেমস (এসএ গেমস) এবং ২০তম এশিয়ান গেমসে তায়কোয়ানডোতে ভালো ফলাফলের লক্ষ্য নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশন। কোরিয়ার অভিজ্ঞ পুমসে কোচ জুন গিউ চোইকে নিয়োগ দিয়েছে ফেডারেশন। রোববার রাতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান এ নতুন কোচ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের কর্মকর্তারা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের সহসভাপতি হাসানুজ্জামান খান বাবলু, সদস্য আরিফ রাব্বানী, নুরুল ইসলাম ও মরিয়ম বেগম ইতি এবং কোচ নির্মল চৌধুরী, মো. কামরুজ্জামান চঞ্চল, আব্দুর রহমান ও মো. কোরবান আলী।
বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো দল বর্তমানে বিকেএসপিতে আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে রয়েছে। আগামী বছর দুটি বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তারা। প্রথমত, ২৩-৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় ১৪তম সাউথ এশিয়ান গেমস। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত জাপানের আইচি-নাগোয়া শহরে অনুষ্ঠিত হবে ২০তম এশিয়ান গেমস। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ গেমসে ভালো ফল নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই ফেডারেশন একজন অভিজ্ঞ বিদেশি কোচের প্রয়োজন ছিল। ফেডারেশন আপাতত চার মাসের জন্য জুন গিউ চোইয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
তিনি আগামী বছর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী সময়ে তার পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। জানা গেছে, কোরিয়ান কোচের থাকা-খাওয়ার সব ব্যয় এবং মাসিক বেতন (৩ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার) সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বহন করবে। জুন গিউ চোই একজন অত্যন্ত দক্ষ তায়কোয়ানডো মাস্টার, যার অ্যাথলেট এবং কোচ উভয় হিসেবেই রয়েছে সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা। তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তায়কোয়ানডো প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশন মনে করছে, এ বিশ^মানের কোচের অধীনে বাংলাদেশের তায়কোয়ানডো খেলোয়াড়রা নতুন করে নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগ পাবেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবেন। ফেডারেশন আশাবাদী যে জুন গিউ চোইয়ের অংশগ্রহণ সংস্থাটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন