- জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের ফিরিয়ে আনা সরকারের প্রধান লক্ষ্য
নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি ঠেকানোর মতো কোনো শক্তি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গতকাল শুক্রবার সকালে মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেই, কোনো শক্তি নেই নির্বাচন প্রতিহত করার। সব দলের অংশগ্রহণে এবার সুষ্ঠু ও সুন্দর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান চলাকালে জুলাই-আগস্ট মাসে হত্যাকা-ের খুনিদের ফিরিয়ে আনা। এটি আমাদের শপথ এবং অঙ্গীকার। গণঅভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিবাদী সরকার বহু শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রমাণ করেছে যে ফ্যাসিবাদী সরকার গণহত্যা চালিয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদ- দিয়েছে। আমরা চাই তারা দেশে প্রত্যর্পিত হোক। তিনি আরও বলেন, তাদের আপিল করার অধিকার রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, যাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দ্রুত তাদের রায় কার্যকর হয়। প্রেস সচিব বলেন, যাদের হাতে রক্তের দাগ আছে, তাদের সবাইকে আমরা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনব। এটি শহিদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব, আমাদের অঙ্গীকার। আমরা ব্যর্থ হলে পরবর্তী প্রজন্ম এই দায়িত্ব নেবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, যারা তাদের সন্তানদের হত্যা করেছে বা পঙ্গু করেছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে। এ ব্যাপারে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ।
জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সরকারের প্রেস সচিব বলেন, জাতীয় পার্টি সম্পর্কে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। তারা নির্বাচন করতে চাইলে, সেটি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে ইতিহাস বলবে, জাতীয় পার্টি ভয়ংকর রকমভাবে স্বৈরাচারের দোসর ছিল। আওয়ামী লীগ যেসব অপকর্ম করেছে, তা করেছে জাতীয় পার্টির সহযোগিতায়।
চলমান রাজনৈতিক আলোচনায় উঠে আসা ‘মাইনাস ফোর ফর্মুলা’ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, যারা মাইনাস ফোর ফর্মুলার কথা বলছে, তারা স্বৈরাচারের দোসরের দল থেকেই এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে কখনোই মাইনাস ফোরের কোনো কথা বলা হয়নি। যিনি মাইনাস হয়েছেন, তিনি হত্যাযোগ্য অপরাধের কারণে মাইনাস হয়েছেন।
এর আগে শফিকুল আলম মাগুরায় আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। মাগুরা জেলা প্রশাসন ও মাগুরা জেলা ক্রীড়া অফিসের সহযোগিতায় ৯টি দলের অংশগ্রহণে মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিদপ্তর। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) মো. আব্দুল কাদের, মাগুরা পৌর প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা বি এম সাজিন ইশরাত এবং ক্রীড়া সংগঠক বারিক ননজাম বার্কি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন