সাতক্ষীরার তালা উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে একদল কালোমুখো হনুমান। গত দুদিন ধরে ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়ির ছাদ, দোকান ও বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে হনুমানগুলো দেখা যাচ্ছে। ওই দলে অন্তত ১০ থেকে ১২টি হনুমান রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার সকালে ও আগের দিন বিকেলে তালা উপশহরের বিভিন্ন গাছে, বাড়ির ছাদ, প্রাচীর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাচীরের ওপর চলাচল করতে দেখা যায় এদের। উৎসুক জনতার মধ্যে অনেকে হনুমানগুলোকে কলা, বিস্কুট, লেবু, পাউরুটি খেতে দিচ্ছে। অনেকে আবার হনুমানকে নানাভাবে বিরক্তও করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতা তালা সদরের মহল্লাপাড়া এলাকার মামুন হাওলাদার বলেন, হয়তো পথ ভুলে ১০ থেকে ১২টি হনুমান এ এলাকায় এসেছে। হনুমানগুলোর প্রাণ বাঁচাতে এলাকাবাসীর এগিয়ে আসা দরকার। আমাদের বাসার সামনে শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন গাছে ও বাড়ির আশপাশে হনুমানগুলো খাদ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত দুই-তিন দিন ধরে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ১০ থেকে ১২টি কালোমুখো হনুমান। শুনেছি, যশোরের কেশবপুর এলাকা থেকে আসা ফল বা সবজির ট্রাকে করে হনুমানগুলো চলে এসেছে। তিনি আরও বলেন, কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হনুমানের বসবাস। এসব গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ৩০০-৪০০ হনুমান। প্রাণিবিভাগের তত্ত্বাবধানে এদের দেওয়া হয় বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী। তবে কোনো কারণে খাদ্যসংকট দেখা দিলে মাঝেমধ্যেই কিছু হনুমান আবাসস্থল রেখে বেরিয়ে পড়ে। কখনো কখনো অধিক খাদ্য ও ভালো আবাসের সন্ধানে মাইলের পর মাইল অতিক্রম করে লোকালয়ে চলে আসে।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাসুম বিল্লাহ বলেন, মুখপোড়া হনুমান বনের বাইরে বাস করা হনুমানের একটি প্রজাতি। মনুষ্যসৃষ্ট বৈশি^ক আবহাওয়া, মানুষের উৎপাত, খাদ্য, বন ও পরিবেশের কারণে হনুমানগুলো দলে দলে এলাকা ত্যাগ করে থাকে। কেউ ফিরে যায়, অনেক হনুমান মারাও যায়। এ সময় তিনি হনুমানগুলোকে বিরক্ত না করে সম্ভব হলে প্রয়োজনীয় খাবার দিয়ে তাদের প্রাণ বাঁচাতে চেষ্টা করার আহ্বান জানান।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন