রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০৪:০৪ এএম

মনোনয়ন নিয়ে মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০৪:০৪ এএম

মনোনয়ন নিয়ে মুন্সীগঞ্জে  বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে গজারিয়া উপজেলায় দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় গাড়ি ও ব্যক্তিগত কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার বিএনপি দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। এতে মুন্সীগঞ্জ-৩ (সদর ও গজারিয়া উপজেলা) আসনে মনোনয়ন পান বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রতন। মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থকরা। এর পর থেকেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। শুক্রবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে স্বাধীন (২৮) ও সাইদুলের (২৫) অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহত শিরিনা বেগম (৪৬), দেলোয়ার (৪৯), মোস্তফা (৪৮), সুজন (২৩), আসিফ মীর (১৯), নয়নকে (২৬) স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকার কয়েকজন দোকানি বলেন, বিকেল ৫টায় মহিউদ্দিনের সমর্থকরা সাহারা মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। তারা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে থেকে মশাল মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অপরদিকে, কামরুজ্জামান রতনের সমর্থকরা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম আহমেদ এবং হোসেন্দী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মমিন মৃধার নেতৃত্বে সড়কের পাশে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করেই মুখোমুখি অবস্থায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারপরই দুপক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তিনি সবাইকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার পরামর্শ দেন।

মহিউদ্দিন আহমেদ পক্ষের উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলি হোসেন বলেন, আমরা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হঠাৎ তারা (কামরুজ্জামান গ্রুপ) শটগান দিয়ে গুলি করতে করতে আমার অফিসের দিকে আসে হামলা চালিয়ে আমার গাড়ি, অফিস ভাঙচুর করে এবং আমাদের ৬-৭ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে।

কামরুজ্জামান পক্ষের হোসেন্দি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মমিন মৃধা বলেন, কামরুজ্জামান রতন ভাই মনোনয়ন পাওয়ায় আমরা আনন্দ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ আলী হোসেনের অফিস থেকে গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে আমরা আত্মরক্ষায় তা প্রতিহত করেছি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মাসুদ ফারুক বলেন, এটি বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নয়। রতন ভাইয়ের মনোনয়ন পাওয়ায় গজারিয়াবাসী আনন্দ প্রকাশ করছিল। আওয়ামী দোসররা এসে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে।

গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখানে একটি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে গোলাগুলির কোনো তথ্য পাইনি কিংবা গুলিবিদ্ধ হয়েছে এমন কোনো খবরও নেই। তবুও পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!