রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০৪:০৯ এএম

আধুনিক প্রযুক্তিতে টমেটো চাষে রেকর্ড ফলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০৪:০৯ এএম

আধুনিক প্রযুক্তিতে টমেটো  চাষে রেকর্ড ফলন

  • জেলায় আধুনিক পুলি রেপিং ও গ্রাফটিং প্রযুক্তিতে টমেটো চাষে রেকর্ড ফলন
  • ৭০০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ, উৎপাদন ছাড়াতে পারে অর্ধশত কোটি টাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধুনিক পুলি রেপিং প্রযুক্তি ব্যবহারে শীতকালীন টমেটো চাষে এসেছে বিপ্লব। অনুকূল আবহাওয়া, কৃষি বিভাগের নিবিড় কারিগরি সহায়তা এবং উন্নত জাতের ব্যবহারের ফলে এবার জেলার টমেটো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে উৎপাদন অর্ধশত কোটি টাকারও বেশি হতে পারে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে জানা যায়, এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৭০০ হেক্টর জমিতে টমেটো আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা এবং রোগবালাই কম হওয়ায় ফলন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।

সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কৃষি উদ্যোক্তা মো. জামাল মিয়া জানান, তিনি এবার ২৫ একর জমিতে টমেটো আবাদ করেছেন, যা তার কৃষিজীবনের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। প্রতি একরে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হলেও ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি। তার ভাষায়, ‘পুলি রেপিং প্রযুক্তি ব্যবহারে গাছ কম রোগে আক্রান্ত হয়েছে, পানি সাশ্রয় হয়েছে, আর উৎপাদন বেড়েছে, তাই লাভ নিশ্চিত।’

একই খামারের কৃষক শাহিন মিয়া জানান, ‘প্রতিবছর টমেটো চাষ করলেও এমন ফলন কখনো পাইনি। আবহাওয়াও ছিল ভালো, আর প্রযুক্তির কারণে শ্রমও কম লেগেছে। আমরা খুব লাভবান হয়েছি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোস্তফা এমরান হোসেন জানান, এবার টমেটো চাষে কৃষকরা অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছেন। তিনি বলেন, তিত বেগুনের চারার সঙ্গে গ্রাফটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে টমেটো গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে, আর পলিথিন শেড ও মালচিং ব্যবহারে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকায় ফলনও বেড়েছে। তার মতে, পুলি রেপিং পদ্ধতি ভবিষ্যতে টমেটো উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

কৃষি বিভাগের দাবি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীতকালীন টমেটো এখন বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফসল। প্রচুর ফলনে কৃষকদের মুখে যেমন হাসি ফুটেছে, তেমনি সরগরম হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাজারগুলো। এতে জেলার গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হচ্ছে এবং কৃষিভিত্তিক ব্যবসায় নতুন গতি ফিরেছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!