সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৯:০৩ এএম

আলজাজিরার বিশেষ প্রতিবেদন

যুদ্ধের নির্মম শব্দকে সংগীতে রূপ দিলেন এক শিক্ষক

ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৯:০৩ এএম

যুদ্ধের নির্মম শব্দকে সংগীতে রূপ দিলেন এক শিক্ষক

চারদিকে বিধ্বস্ত বাড়িঘর, বিশৃঙ্খলা আর খাদ্য বিতরণের জায়গায় গুলি থেকে (ইসরায়েলি সেনাদের) বাঁচতে মরিয়া হয়ে ছুটছে মানুষ। ইসরায়েলের বর্তমান যুদ্ধ শুরু করার আগেই গাজার শিশুদের ওপর দেশটির কর্মকা-ের প্রভাব দেখা গেছে। ২০২২ সালে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ উপত্যকার প্রতি পাঁচজন শিশুর চারজনই কঠোর ইসরায়েলি অবরোধের প্রভাবে হতাশা, কষ্ট আর ভয়-আতঙ্কে ভুগছে। আলজাজিরার প্রতিবেদক ইব্রাহিম আল-খলিলি গাজা সিটি থেকে জানাচ্ছেন, এ উপত্যকায় যুদ্ধের বাস্তবতা থেকে পালানোর কোনো উপায় নেই। আল-খলিলি জানান, এমন আতঙ্কজনক পরিস্থিতির মধ্যে সারাক্ষণ বাজতে থাকে ইসরায়েলি ড্রোনের শব্দ।

কথা বলতে বলতেই তিনি (আল-খলিলি) ওপরে উড়ে যাওয়া ড্রোনের শব্দ শুনে থেমে যান। ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলা আর বিস্ফোরণের ভয়াবহ শব্দের ভেতরে আতঙ্কিত শিশুসহ গাজার বাসিন্দাদের মানসিকভাবে টিকে থাকার শক্তি জোগানোর অনন্য এক উপায় বের করেছেন গাজার একজন সংগীতশিক্ষক। গাজা উপত্যকার আকাশে ইসরায়েলি ড্রোনের নিরবচ্ছিন্ন ভনভন শব্দ শুরু হয়েছে বহু আগেই। ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের পর থেকে যুক্ত হয়েছে গুলির শব্দ আর বোমা বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ। ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা হওয়ার আগেও অনেক বছর ধরে গাজার ওপর দিয়ে ড্রোন উড়েছে।

গাজায় যুদ্ধের বাস্তবতা থেকে পালানোর কোনো উপায় নেই। তবে সংগীতের শিক্ষক আহমেদ আবু আমশা খুঁজে নিয়েছেন ভিন্ন পথ। তিনি শিশুদের শেখাচ্ছেন, কীভাবে আকাশে ড্রোনের তোলা বন বন শব্দে আতঙ্ক নয়, বরং একে গানের সুর হিসেবে গ্রহণ করা যায়। ইসরায়েলের বর্তমান যুদ্ধ শুরু করার আগেই গাজার শিশুদের ওপর দেশটির কর্মকা-ের প্রভাব দেখা গেছে। ২০২২ সালে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ উপত্যকার প্রতি পাঁচজন শিশুর চারজনই কঠোর ইসরায়েলি অবরোধের প্রভাবে হতাশা, কষ্ট আর ভয়-আতঙ্কে ভুগছে। আমশা বলেন, “ধারণাটা এসেছে এখানকার বাস্তবতা থেকে, আমাদের কষ্ট থেকে। ড্রোন উড়তে শুরু করলেই বাচ্চারা আমাকে বলে, ‘স্যার, এই বিরক্তিকর শব্দে আমরা ক্লান্ত।’ তখন আমি বলি, ‘না, আমাদের এই শব্দের সঙ্গে গান গাইতে হবে।’” এই শিক্ষক আরও বলেন, ‘আমাদের খারাপ কিছুকে ভালো কিছুতে রূপ দিতে হবে। তাই আমরা গান করি।’ প্রায়ই তাঁরা নিজেদের গান গাওয়ার ভিডিও বানিয়ে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন। ‘এই ভিডিওগুলোর উদ্দেশ্য হলো, যুদ্ধের শব্দকে সংগীতে বদলে দেওয়া, আর সেটাকে সুন্দর কিছুতে রূপান্তর করা।’ বলেন, আবু আমশা। আমশার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ভিডিওগুলো হাজারো মানুষ দেখেছেন। আল-খলিলি বলেন, এগুলো শিল্প সৃষ্টির জন্য নয়, বরং এ বার্তা দেওয়ার জন্য যেÑ ‘একটা যন্ত্র (ইসরায়েলের ড্রোন), যা নজরদারি ও ভয় দেখাতে তৈরি, সেটা আমাদের বেঁচে থাকার অর্থ নির্ধারণ করবে না।’ এটাই এক ধরনের প্রতিরোধ।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় এক দিনে আরও অন্তত ৭৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু গাজা নগরীতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন। নিহতদের মধ্যে ১১ জন ছিলেন রুটি সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়। রোববার (৩১ আগস্ট) আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণ ও জোরপূর্বক উচ্ছেদের মুখে গাজা নগরী থেকে শত শত ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন। হাতে গোনা কিছু মালপত্র ট্রাক, ভ্যান কিংবা গাধার গাড়িতে বোঝাই করে তারা নিরাপত্তার খোঁজে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। দেইর আল-বালাহ অঞ্চলের নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের পশ্চিম দিকে বহু পরিবার খোলা আকাশের নিচে অস্থায়ী তাঁবু ফেলতে শুরু করেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ পরিবার একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর আবারও ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!