সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। শুল্ক স্টেশন থেকে এক-দুই দিনের মধ্যে পণ্য ছাড়তে হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ে ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘মিট দ্য বিজনেস’ শীর্ষক অংশীজন সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফিকির নির্বাহী পরিচালক ও ব্যবসায়ী নূরুল কবিরের উপস্থাপনায় সভায় এনবিআর বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও অভিযোগের জবাব দেন। আমদানির ক্ষেত্রে পণ্য দ্রুত খালাসের তাগিদ দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য এক-দুই দিনের মধ্যে পণ্য ছাড় করা। মালামাল আসার পর অ্যাসেসমেন্ট কমিটি করলে পণ্যের ডেমারেজ দিতে হয়। এভাবে পণ্য ছাড় করলে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারবেন না। যদি কমিটি করতেই হয়, তাহলে মাল আসার আগে করতে হবে।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যারা বিজনেস করতে আসছেন, তারা যেন কোনো ধরনের হয়রানির স্বীকার না হন, সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল কাজ। কোনো আলোচনা করার দরকার হলে তা দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে হবে।’ চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা কোনো অনৈতিক কাজ করতে চাইলে কিংবা হয়রানি করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে অনলাইনে অভিযোগ দেবেন। এনবিআর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের টাকায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন হয়। কেন হয়রানি মেনে নেবেন? ব্যবসা বাড়লে রাজস্ব বাড়বে। ব্যবসাবান্ধব নিশ্চিত করাই প্রধান ফোকাস।’
পণ্যের ভ্যালুয়েশন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভ্যালুয়েশন নিয়ে কেন এত জটিলতা? এনবিআর যা ন্যায্য সেটা নেবে। ভ্যালুয়েশন বাড়িয়ে কাস্টমস ডিউটি ধরার দরকার নেই। তবে কর ফাঁকি দিলে ধরতে হবে। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের এখানে মাথা বেশি, ফলে কাজের গতি পাচ্ছে না।’
দারাজের এক প্রতিনিধি অভিযোগ করে বলেন, ‘ই-কমার্স খাতে পণ্য বিক্রির ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। কিন্তু একই পণ্য অফলাইনে বিক্রি করলে ভ্যাট দিতে হয় সাড়ে ৭ শতাংশ। যেমনÑ মোবাইলের ক্ষেত্রে দোকানে বিক্রির ওপর ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ, কিন্তু অনলাইনে ১৫ শতাংশ। এটা সমন্বয় করতে হবে। ব্যবসা খাতে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকা উচিত।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন