নেই চিরচেনা শিশুদের কলতান। নেই শিক্ষার্থীদের হইহুল্লোড় আর খেলাধুলা। ক্লাসে নেই পাঠদান। এমনকি বাজেনি কোনো ঘণ্টাও। বিধ্বস্ত ভবনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বই, খাতা, ব্যাগ। অথচ দুই দিন আগেও রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছিল শিক্ষার্থীদের কোলাহল-দৌড়াদৌড়ি আর হইহুল্লোড়ে মুখর। সেখানের বাতাসে এখন শুধুই পোড়া গন্ধ।
মাইলস্টোন ঘিরে ভিড় কাটেনি উৎসুক জনতার। শিক্ষার্থীদের অনেককেই অভিভাবকদের হাত ধরে ঘটনাস্থলে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের চোখে-মুখে এক অজানা অনিশ্চয়তা, আতঙ্ক আর কষ্টের ছাপ।
গত সোমবার রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এতে গতকাল মঙ্গলবার এ খবর লেখা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতলে চিকিৎসা নিচ্ছে অন্তত ১৬৫ জন। নিহতদের মধ্যে একজন পাইলট ও শিক্ষক বাদে বাকি সবাই শিক্ষার্থী। আহতদের মধ্যে ৩০ জনের অবস্থা বিপজ্জনক। তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মর্মান্তিক এ ঘটনায় গতকাল এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়। বিমানটি উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। মর্মান্তিক এ ঘটনায় দেশজুড়ে এক শোকাবহ পরিবেশ তৈরি করেছে। ঘটনাস্থলের ভয়াবহতা, আগুনে দগ্ধ শিশুর কান্না ও বিভীষিকাময় পরিস্থিতি দেখে অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
এদিকে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহত হওয়া শিক্ষার্থীসহ সবার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান চালানো বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এ ছাড়া নিহতদের কবর দেওয়ার জন্য মাইলস্টোন স্কুলের কাছে উত্তরা-১২ নম্বরের সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই মাইলস্টোন স্কুলে উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এই ভিড়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, উৎসুক জনতা ও স্থানীয়রা আছেন। তাদের অনেকে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন। অনেকে চুপ করে ভবনটির দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
তাসলিমা আক্তার নামের এক অভিভাবক বললেন, শিক্ষার্থীদের মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো না। কাল সারা রাত চোখের পানি ফেললাম। যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না। ভোর না হতেই আবার ছুটে এসেছি। এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও বিচার চাই।
মায়ের সঙ্গে মাইলস্টোন স্কুল দেখতে এসছে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিন। জাহিন ওই স্কুলেই পড়ে। সে বলে, তখন আমি মাঠে বসে ছিলাম। আম্মুর কাছ থেকে টিফিন খাওয়া শেষ করে ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলাম। দু-এক পা এগোতেই দেখলাম বিমানটা আমার ক্লাসের ভেতরে ঢুকে গেল। ক্লাসে তখন ১১ জন ছিল। এমনি ক্লাসে প্রায় ৪০ জন থাকে। কোচিং ক্লাসে কম স্টুডেন্ট ছিল। আমার দুই বন্ধু বেঁচে ফিরেছে।
জাহিন জানায়, তার এক বন্ধু মাহীন মারা গেছে। যখন বিমানটা ক্রাশ করে তখন সে প্রায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল।
জাহিনের মা নারগিস পারভীন বলেন, প্রতিদিন মূল ক্লাস শেষে কোচিং ক্লাস হয়। এই বিরতিতে আমার ছেলে মাঠে খেতে আসে। ও হাত ধুয়ে ক্লাসে যাচ্ছিল। বিমানটা দেখে ছেলেকে বলি, দেখো প্লেনে আগুন ধরে গেছে। এর এক মিনিটের মধ্যেই প্লেনটা ওদের ক্লাসে ক্রাশ করে। আমার ছেলেটা বেঁচে গেছে ওই দুই মিনিটের জন্য খেতে বের হওয়ার কারণে। অনেকে বের হতে পারেনি, অনেকে আহত হয়েছে। এই কষ্ট সহ্য করার মতো না।
মাইলস্টোন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী রাতুল চোধুরী বলেন, ‘ঘটনার সময় তিনি হোস্টেলে ছিলেন। বড় আওয়াজ শুনে আমরা পাঁচ থেকে ছয়জন দৌড়ে আসি। এসে দেখি, আগুন জ্বলছে দাউ দাউ করে, আর মানুষজন ভিডিও করছে। গ্রিল ভেঙে দগ্ধ শিক্ষার্থীদের বের করা হচ্ছিল। এরপর সেনাবাহিনী আসে, সবাইকে বের করা হয়। একটা প্লেন এসে পড়বে কলেজে- এ রকম হবে এটা আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি।
মাইলস্টোন কলেজের পরিচালক রাসেল তালুকদার জানান, নিহত-আহতদের তথ্যের বিষয়ে হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, এক নম্বর ভবনের নিচে এ-সংক্রান্ত হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। শিক্ষকেরা সেখানে তথ্য হালনাগাদ করছেন। অভিভাবকেরা সেখানে তথ্য দিচ্ছেন, নিচ্ছেন। আমাদের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা শোকাহত, মর্মাহত।
গতকাল মাইলস্টোন স্কুল পরিদর্শনে যান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করেই তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে কলেজ ভবনের দিকে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা আইন উপদেষ্টাকে ঘিরে ধরে। প্রশাসনের জবাবদিহি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার পরে কলেজের ৫ নম্বর ভবনের নিচতলায় কনফারেন্স কক্ষে যান। তাদের সঙ্গে কলেজের শিক্ষকেরাও ছিলেন। সেখানে পাঁচ থেকে সাতজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। এ সময় বাইরে শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করে এবং তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধের পর মুক্ত হন তারা।
যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ৩১: গত সোমবার দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ির ওই স্কুলের ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই বিমান আছড়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী, স্কুলমাঠে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটি ছেঁচড়ে গিয়ে ধাক্কা খায় দোতলা হায়দার আলী ভবনে। অগ্নিগোলকে পরিণত হওয়া সেই বিমানের শিখা স্কুল ভবনটিকেও গ্রাস করে নেয়। তখন স্কুল ছুটির সময়, অনেক অভিভাবকও ভিড় করেছিলেন ভবনটির কাছে। দুর্ঘটনার পর ভবনের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বের হতে পারছিলেন না কেউ। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়। এরপর গতকাল রাত ৮টায় এ খবর লেখা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১-এ। এ ঘটনায় আহত ১৭১ জনকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গতকাল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিভিন্ন হাসপাতালে নিহতের সংখ্যা দুপুর পর্যন্ত ৩১ জন দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আহত ৮, নিহত নেই। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহত ৪৬, নিহত ১০। ঢাকা মেডিকেলে আহত ৩, নিহত ১। ঢাকা সিএমএইচে আহত ২৮, নিহত ১৬। উত্তরা লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে আহত ১৩, নিহত ২। উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে আহত ৬০, নিহত ১। উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আহত একজন, নিহত নেই।
নিহতদের দাফনের জায়গা নির্ধারণ: মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের দাফনের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বিকেল ৩টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের কবরস্থানের জন্য মাইলস্টোন স্কুলের কাছের উত্তরা ১২ নম্বরের সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতি রক্ষায় পরবর্তী সময়ে এ কবরস্থান সংরক্ষণ করা হবে বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
হতাহতদের পরিবার পাবে ক্ষতিপূরণ, জনবহুল এলাকায় চলবে না প্রশিক্ষণ বিমান: বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহত হওয়া শিক্ষার্থীসহ সবার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান চালানো বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবির প্রত্যেকটিই যৌক্তিক বলে মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনা শেষে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, মাইলস্টোন স্কুলে একটি তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে নিহত ও আহতের তথ্য থাকছে। কেউ নিখোঁজ থাকলে সে তথ্য থাকছে। এখান থেকে তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। নিহত ও আহত পরিবারের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং ট্রমা ম্যানেজমেন্ট সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, জনগণের ভিড় নিয়ন্ত্রণের সময় সেনাবাহিনীর কর্তব্য পালনকালে কয়েকজন সেনা সদস্য কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর মারধরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেনা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান না চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিমানবাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও আইন উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের জানান।
মাইলস্টোনে ‘অনভিপ্রেত’ ঘটনা নিয়ে যা বলছে আইএসপিআর: মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে জনতার ‘অনভিপ্রেত ঘটনার’ ব্যাখ্যা দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিরীহ নাগরিক হতাহত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটবর্তী ক্যাম্প থেকে সদস্যরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা চালানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে। সেনাবাহিনীর সদস্য এবং মাইলস্টোন স্কুলের স্বেচ্ছাসেবকরা বারবার অনুরোধ করলেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় সময়মতো আহতদের সরিয়ে নেওয়া অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে, প্রাণহানির ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
সেনা সদস্যরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারির সাথে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। উল্লেখ্য, এই উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত ১৪ জন সেনা সদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।