ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

বললেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

অন্তর্বর্তী সরকারের বিদায়ের সময় এসেছে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ১২:৩৪ এএম

অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের এক্সিট পলিসি নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে। বর্তমান সরকার যে কাজকর্মগুলো করেছেন, আগামী সরকার সেইগুলোকে সম্পূর্ণভাবে বৈধতা দেবে কি নাÑ এই বিষয় কিন্তু এখনো সামনে রয়ে গেছে। এগুলো নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে।’

গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ডেমোক্র্যাসি ডায়াস বাংলাদেশের এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। 

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি একটু ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকিয়ে বাংলাদেশ থেকে কী কী শিক্ষা আমরা নিতে পারি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভেতর থেকে, সেটা আপনাদের সামনে তিন-চারটা বিষয় আমি খুব সংক্ষেপে উত্থাপন করতে চাই।’ 

তিনি বলেন, ‘যেগুলো আমার কাছের থেকে দেখার সৌভাগ্য বলেন, দুর্ভাগ্য বলেনÑ হয়েছিল। প্রথমত, একটি অন্তর্বর্তী সরকার বা একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তো বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনি যদি দেখেন এই সরকারের প্রয়োজনীয়তা কেন দেখা দিল?’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনারা বলবেন, দুর্বল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ইত্যাদি না থাকা। যখন কোনো রাজনীতিবিদ সাংবিধানিকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরকে আটকে দিতে চায়, তখনই রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে এবং যখনই রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে পড়ে তখনই একটি জরুরি অবস্থার প্রয়োজন পড়ে এবং আপনারা যদি ফিরে দেখেন প্রথম রাষ্ট্রব্যবস্থার এই রকম ভঙ্গুর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এরশাদ সাহেবের শেষের দিকে, আমরা ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছি। 
সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু নয়, আবার প্রয়োজনের কমও নয় এমন ভারসাম্যপূর্ণ সংস্কার নীতিই গ্রহণযোগ্য। নইলে আমরা আবারও অসংস্কার প্রক্রিয়ায় ফিরে যাব।’

একই অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেন, ‘সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। নির্বাচন অক্টোবরে হওয়া উচিত’ বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি ভালো হলেও এখন তা সময়োপযোগী নয়।’