মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সেলিম আহমেদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম

ভাঙবে অচলায়তন, ঢাবিজুড়ে উৎসব

সেলিম আহমেদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

নানা শঙ্কা আর উদ্বেগ কাটিয়ে সাড়ে ছয় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ আজ। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় এবারের ডাকসুর নির্বাচন হবে উৎসবমুখর পরিবেশে, এমনই ধারণা সংশ্লিষ্টদের। নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের প্যানেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও স্বতন্ত্রভাবে লড়ছেন এ ভোটযুদ্ধে। নির্বাচনি প্রচারে খুব একটা হট্টগোল না হলেও শেষ সময়ে এসে সাইবার অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন প্রার্থী।

ভোটের আগের দিন গতকাল সোমবার তাদের অনেকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজঅ্যাবল করে দেওয়া হয়। ছাত্রলীগ ছাড়া এবারের ডাকসুর নির্বাচনে নারী শিক্ষার্থী, কোচিং সেন্টারকেন্দ্রিক অনুসারী, আঞ্চলিকতা আর অনাবাসিক ভোটার বড় ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক ছাড়া সব পদেই জয় পেয়েছিল ছাত্রলীগ। যদিও সেই নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ছিল।

তবে এবার ১০টি প্যানেলের মধ্যে কোনো প্যানেলই এককভাবে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না ঢাবির শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এবার প্যানেল নয়; প্রার্থী দেখেই ভোট দিবেন তারা। এদিকে এবারের ডাকসু নির্বাচনকে পরিচ্ছন্নভাবে আয়োজন করতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। নির্বাচনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। আর ডাকসু নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। সবমিলিয়ে এই নির্বাচন সমগ্র জাতির জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। 

গতকাল দিনভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যায়জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শেষ হলেও রয়ে গেছে এর রেশ। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন প্রার্থীর পোস্টার। টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন ও হলগুলোয় শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধ হয়ে মেলাচ্ছেন ভোটের নানা সমীকরণ। কে কোন পদে এগিয়ে, কার সম্ভাবনা বেশি এই আলোচনাই আড্ডার মুখ্য বিষয়। 

হলগুলোয় প্রার্থীদের প্রচার বন্ধ হলেও চুপ নেই তাদের সমর্থকরা। তারা নিজেদের সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের একজোট করার চেষ্টা করছেন। তবে প্রচার শেষ হওয়ায় সবকিছু অনেকটাই শান্ত থাকলেও তার আড়ালে ছিল ভোটপূর্ব উত্তেজনা।

নির্বাচন আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও ব্যস্ত সময় পার করে। নির্বাচনি কেন্দ্র ও বুথগুলো প্রস্তুত করা হয় গতকাল দিনভর। নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশ সদস্যদের টহলও বেড়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে সার্বিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ডাকসু তোমরা চেয়েছো; গভীরভাবে প্রত্যাশা করেছো; গণঅভ্যুত্থানের মৌলিক মূল্যবোধগুলোর সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণও। গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য সমন্বিত একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভয়েস তৈরির জন্য এটা জরুরি। গুরুত্বপূর্ণ এসব মূল্যবোধকে তুলে ধরার জন্য তোমাদের অনুষ্ঠান ডাকসু নির্বাচন। নির্ভয়ে তোমরা ভোট দিতে আসবে, আমরা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি।’

গতকাল বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, ‘সারা দেশ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা শুভ কামনা জানাচ্ছেন। এখন একটি ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের উত্তরণের প্রক্রিয়াকে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে যে কাজ করছে, তাতে তোমরা তোমাদের ভূমিকা পালন করবে, সেটাই প্রত্যাশা করছি।’

এবারের ডাকসু নির্বাচনকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান আরও বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটি বিভিন্ন কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচন ঐতিহাসিক। এবার অনেক কিছু আমরা করেছি, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আগে ঘটেনি।’

ভোটে ফ্যাক্টর নারী শিক্ষার্থী, কোচিং, হল, অনাবাসিক ও আঞ্চলিকতা কেন্দ্রিক ভোটাররা ডাকসুর নির্বাচনের মোট ভোটারদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ নারী ভোটার। নির্বাচনের ফল নির্ধারণে তারাই বড় ফ্যাক্টর। আর কয়েকজন আলোচিত প্রার্থীর জন্য কোচিং সেন্টারকেন্দ্রিক সমর্থকগোষ্ঠী ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের। এ ছাড়াও অনাবাসিক ভোটার, বিভিন্ন আবাসিক হল ও প্রার্থীদের আঞ্চলিক ভোটরাও বড় একটা পার্থক্য গড়ে দেবে বলে মনে করছেন অনেকে।

বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষ কৌশল নেয় প্যানেলগুলো। ডাকসু নির্বাচনের প্রচারে প্রথম থেকেই গুরুত্ব দিয়েছে নারীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতায়। নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন সব প্যানেলের প্রার্থীরা। সব প্যানেলই একই সুরে বলেছে ছাত্রীদের আবাসন, স্বাস্থ্য, গর্ভকালীন ছুটি ও ক্লাস উপস্থিতি বিষয় শিথিল করাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ডাকসুর মাধ্যমে করবেন। এ ছাড়াও আবাসিক হলগুলোর পাশাপাশি অনাবাসিক ভোটারদের টানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাসের শিডিউল ও অবস্থানসংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের একাডেমিক ও হল সমস্যার সমাধানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সবাই। এর বাইরে আঞ্চলিক ভোট টানতেও কৌশলী প্রচার চালিয়েছেন অনেকেই। 

ভোটগ্রহণ ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত, ৮ কেন্দ্রে ৮১০ বুথ

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে ক্যাম্পাসের ৮টি কেন্দ্রে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মোট ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। ডাকসু নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি ভোটার গড়ে ১০ মিনিট সময় নিলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বিঘে ভোটদান সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এদিকে নির্বাচনকে স্বচ্ছ করতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনে ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

২৮ পদে প্রার্থী ৪৭১ জন, ১৮ হল সংসদে ২৩৪ পদে প্রার্থী ১০৩৫ জন

ডাকসুতে এবার ২৮টি পদে লড়ছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে রয়েছেন ১২ জন।

এ ছাড়াও গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫ জন প্রার্থী। সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার মোট ২১৭ জন প্রার্থী সদস্য পদে লড়বেন। এ ছাড়াও ১৮টি হলের মধ্যে প্রতিটি হল সংসদে ১৩টি করে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন।

ছাত্রদল ও শিবিরের অনেক প্রার্থীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজঅ্যাবল

শেষ সময়ে এসে সাইবার অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিত প্যানেলের বেশ কয়েকজন প্রার্থী। গতকাল সোমবার সকাল থেকেই ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামীম ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী তানভীর আল হাদীর অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বেলা আড়াইটার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ঘেঁটে দেখা গেছে, ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিমের ফেসবুক আইডি সচল রয়েছে। তবে ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদীর আইডি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়াও ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েমের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা জানিয়েছে, ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম; গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী সাজ্জাদ হোসাইন খান এবং ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী আরমান হোসেনের ফেসবুক আইডিও অচল করে দেওয়া হয়েছে। বেলা আড়াইটার দিকে ফেসবুক ঘেঁটে তাদের আইডি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। সংবাদ সম্মেলনে ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, আমি আগেও কয়েকবার আপনাদের সতর্ক করেছি যে, নির্বাচনের আগের দিন নানা ধরনের সাইবার আক্রমণের প্রস্তুতি আছে। আজকে তারই প্রমাণ মিলল। ঘুম থেকে উঠে যখন বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন দেখতে পেলাম আমার আইডি নাই হয়ে গেছে।

নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও ক্যাম্পাসের নিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ জন্য আজ ঢাবি ক্যাম্পাসজুড়ে ২ হাজার ৯৬ জন পুলিশ, ডগ স্কোয়াড, সোয়াট টিম, বিশেষায়িত টিম, সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেন, প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।

গতকাল সোমবার ডাকসু নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে টিএসসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ক্যাম্পাস এখন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে, নিরাপত্তার মধ্যে থেকেই নির্বাচন হবে, কোনো ধরনের ঝামেলার আশঙ্কা নেই। 

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আমি আজ (সোমবার) রাত ৮টা থেকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস এলাকায় লাইসেন্সধারী অস্ত্র বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।

ডাকসু নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না: সেনাবাহিনী 

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছে সেনাবাহিনী। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই- বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না। এর আগেও সেনাবাহিনী কর্তৃক আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। এরপরও একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্রমাগত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা মাত্র, যা সার্বিক নির্বাচনি পরিবেশকে ব্যাহত করতে পারে।

ভিপি প্রার্থী জুলিয়াস সিজারের রিট খারিজ

ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রার্থিতা ফিরে পেতে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের করা রিট খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। ভিপি পদে প্রার্থিতা ফিরে পেতে এবং এই পদের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সরদার আবুল হোসেন। অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

ডাকসু নির্বাচনে জুলিয়াস সিজার তালুকদার ভিপি প্রার্থী ছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় ভিপি প্রার্থী হিসেবে জুলিয়াস সিজারের নাম ছিল। তার ব্যালট নাম্বার ছিল ২৬।

তবে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সলিমুল্লাহ মুসিলিম হলের হাউস টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে জুলিয়াস সিজারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ আনেন। পরে অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি হয়। আপিল ট্রাইব্যুনাল তার প্রার্থীতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠায়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশন জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা ও ব্যালট নাম্বার বাদ দেয়। পরবর্তীতে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!