ডাকসু, জাকসু, চাকসু, রাকসুর নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ৫ আগস্ট-পরবর্তী ছাত্রদলের এমন বিপর্যয়ের কারণ কী? এমন প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই বলছেন, হঠাৎ করে জনপ্রিয় একটি ছাত্র সংগঠন কেন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকরাও বলছেন, জুলাই-আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন ছিল ছাত্রদল, কিন্তু হঠাৎ করেই সংগঠনটি ঝিমিয়ে গেছে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তা ছাড়া ছাত্রদলের এমন বিপর্যয়, সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন, আগামী নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে। বিষয়টি বিএনপিকে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সংকটে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের একাংশ।
এ সময় একাধিক নেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমরা নতুন কমিটি চাই।’
নাঈম নামের এক শিক্ষার্থী রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ‘সারা দেশের ছাত্রদল জিম্মি এ কমিটির কাছে, আমরা নতুন কমিটির দাবি করছি। আর না হয় আন্দোলন চলছে চলবে। প্রয়োজনে এ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হবে।’
দলটির বর্তমান এ পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ছাত্রদলের এমন বিপর্যয়ের প্রধান কারণ হচ্ছে গ্রুপিং, আধিপত্য ও মোটা টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন। যারা টাকা দিয়ে কমিটিতে এসেছে, তারা দায় ছাড়া দায়িত্ব পালন করছেন। এসব কারণে ছাত্রদের এই বৃহৎ দলটির ভেতরে বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহের মতো ঘটনা সৃষ্টি হতে পারে এমনটাই মন্তব্য করছেন অপরাধ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের ধারণা, বর্তমান কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ছাত্রদলকে শক্তিশালীকরণের যে ভূমিকা রাখার দরকার ছিল, সেটা রাখতে তারা অক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। ছাত্রদলের শীর্ষনেতারা ইমেজ সংকটে পড়েছে। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের প্রতি ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক ধরনের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, যা সংগঠনকে স্থবির করে দিচ্ছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও মনে করেন, বিএনপি জুলাই-আগস্টের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন ছিল হঠাৎ করেই এ জনপ্রিয় সংগঠনটিকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনমুখী করতে ছাত্রদলকে ব্যবহার করা হয়। এমন পরামর্শ আজ বিএনপি এবং ছাত্রদলকে বিভিন্ন মহলে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যেখানে বিএনপি জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচনের পক্ষে না এবং ঠিক সেই সময়ে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনমুখী করা হয়। ছাত্রদলের বর্তমান নেতৃত্বে এবং ছাত্রদলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুটিকয়েক বিএনপি নেতা ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে ছাত্রদলকে উৎসাহী করে। যেটাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দলীয় ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিমত প্রকাশ করেছেন। ছাত্রদলের এমন বিপর্যয়ের কারণ হচ্ছে যাতে নির্বাচনে বিএনপিকে ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি করা; যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত বিএনপির গুটি কয়েকজন নেতাকর্মী যারা বিশেষ করে ছাত্রদলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
ছাত্রদলের কমিটি ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ কেন : ছাত্রদলের সাবেক প্রবীণ নেতা ও বিএনপিপন্থি রাজনীতিবিদরা মনে করছেন ছাত্রদলের এমন বিপর্যয়ের আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে সাংগঠনিক অদক্ষতা (ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসমুখী রাখতে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের অক্ষমতা), ডাকসুসহ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কৌশল প্রণয়নে ব্যর্থতা। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের অন্য নেতাদের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব, সংগঠন শক্তিশালী করতে বর্তমান কমিটির মনোযোগের অভাব। এর মধ্যে আরেকটি বিশেষ কারণ হচ্ছে, কমিটি বাণিজ্য ও বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একক আধিপত্য, যেটা সংগঠনকে পঙ্গু করে দিয়েছে। বিষয়টি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের মানুষ লক্ষ্য করেছে।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের একটি বিশেষ সূত্রের বরাতে জানা গেছে, আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান ছাত্রদলকে অযোগ্য হিসেবে সাধারণ মানুষ বিবেচনায় করছে। তবে সিনিয়র ছাত্রদল নেতাদের দাবি, সংগঠনকে গতিশীল করতে ছাত্রদলকে নতুন নেতৃত্বের হাতে তুলে দেবে। ছাত্রদলকে শক্তিশালী করতে ব্যর্থ হলে বিএনপি সরকার গঠন করলেও শিবিরের নানামুখী চ্যালেঞ্জ ও অন্য ছাত্র সংগঠনের তোপের মুখে পড়তে পারে ছাত্রদল, যা আগামীর সরকারের জন্য অস্বস্তির কারণ হবে। এ জন্য নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে বর্তমান ছাত্রদলের এ সংকট সমাধানের উপায় খুঁজছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের একটি সূত্র বলছে, ৫৯৬ সদস্যবিশিষ্ট ছাত্রদলের কমিটি থাকলেও যা নির্বাচনের দিন দূরে ছিল। তাদের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ৫ শতাধিক এসব ছাত্রনেতার মধ্যে ৯০ জন নির্বাচনের দিন উপস্থিত ছিলেন না।
জাতীয় নির্বাচনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদে ছাত্রদলের এ ভূমিধস পরাজয়ের নেপথ্য কারণ নিয়ে এখন চলছে বহুরৈখিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারাও এ লজ্জাজনক হারের কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ছাত্রদলের গ্রুপিং।
জানা যায়, দুষ্টচক্রের গ্রুপিংয়ে কারণে সারা দেশেই এলোমেলো হয়ে আছে বিএনপির ‘ভ্যানগার্ড’খ্যাত ছাত্রদল। বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার নিজস্ব বলয় তৈরি করতে গিয়ে ছাত্রদলকে একধরনের জিম্মি করে রেখেছেন বলেও অভিযোগ আছে। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে নারাজ।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ছাত্রদল ক্যাম্পাসে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। এর মূল কারণ হচ্ছে সাংগঠনিক দুর্বলতা। ফলে তৈরি হয় গ্রুপিং, বিভক্ত হয় ছাত্রদল। তাদের দাবি, এ গ্রুপিংয়ের রাজনীতির কারণে সংগঠনটি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভালো করতে পারেনি।
দেশের চার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) ২৮ পদের ২৫টিতে শিবির জয়ী হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (জাকসু) ২৫ পদের ২০টিতেই শিবির জয়ী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (চাকসু) ২৬ পদের ২৪টিতেই শিবির। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মোট ২৩টি পদের ২০টিতেই জিতেছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’। একেবারে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। অনেকে বলছেন ভূমিধস বিজয়।
জ্যেষ্ঠ নেতাদের ছাত্রত্ব নেই: ঢাবি, জাবি, চবি ও রাবির কোনো হলেই কার্যক্রম চালাতে পারেনি সংগঠনটি। কমিটির বাইরে নেই নতুন রিক্রুট। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখার কোনো জ্যেষ্ঠ নেতার ছাত্রত্ব নেই। কনিষ্ঠ অপরিচিত মুখদের প্রার্থীদের করা হয়েছে। পুরো প্যানেল দিতে পারেনি অধিকাংশ হলে। তার ওপরে ডাকসু নির্বাচনের আগে হল কমিটি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে সংগঠনটি। তা ছাড়া গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সাধারণ ছাত্রদের মনস্তত্ত্বে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটি বিবেচনা করা হয়নি। শীর্ষ পদে যে তিনজন ভালো ভোট পেয়েছেন তাও নিজের ক্যারিশমায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যারা ভোট দিয়েছেন তারা যে সবাই শিবিরের আদর্শ চিন্তা করে ভোট দিয়েছেন তা নয়, তারা ক্যাম্পাসে দখলদারীর ছাত্ররাজনীতির আশঙ্কা থেকে ভোট দিয়েছেন। কারণ তারা অতীতে অনেক ছাত্র সংগঠনের দখলদারত্বের রাজনীতি দেখেছেন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের রাজনীতি দেখেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই বিবেচনায় শিবিরের রেকর্ড নেই। আর ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে তাদের বড় একটা ভূমিকা ছিল।
শিবিরকে মোকাবিলায় রাজনীতির কৌশল বদলাতে হবে ছাত্রদলকে : রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিবিরকে মোকাবিলা করতে হলে রাজনীতির কৌশল বদলাতে হবে ছাত্রদলকে। পুরোনো চিরাচরিত রাজনীতির ধারার পরিবর্তে বাস্তবভিত্তিক নতুন ধারার রাজনীতি করতে হবে। জেন-জি প্রজন্মের চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যৎ রাজনীতির কৌশল ঠিক করতে হবে ছাত্রদলকে।
জাকসু নির্বাচনের ফলের পরদিন নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্কাইপি মিটিংয়ে সাত নেতাকে ডাকেন দলের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মিটিংয়ে অংশ নেন, বিএনপি ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন এবং ছাত্রদলের সুপার ফাইভের নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, ওই বৈঠকের পরই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটাও হয়ে ওঠেনি। নানা অজুহাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন কমিটি গঠন না করার অনুরোধ। যার কারণে গতকাল কাফনের কাপড় পরে ছাত্রদলের নতুন কমিটি দেওয়া ও নিজেদের পরিচয়ের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিতরা। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল যেন মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে না পারে তার জন্য মব তৈরি করে বাধা দেওয়া হয়। রাকসুতেও প্রায় এমনই ছিল। তা ছাড়া ছাত্রদল একটি জনপ্রিয় সংগঠন যার কারণে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপ্রচার করা হচ্ছে। ছাত্রদল হলো বিএনপির প্রাণ, এটিকে ধ্বংস করতে পারলে স্বৈরশাসক ও দুষ্ট রাজনৈতিক চক্র সফল হতে চাইবে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে ছাত্রদল যাতে তেমন শক্তিশালীভাবে কাজ করতে না পারে, সে জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মুখে পড়েছে সংগঠনটি। আশা করি, এসব সংকট সমাধান করে নতুনরূপে এগিয়ে যাবে ছাত্রদল।’
জানতে চাইলে ছাত্রদলের সাবেক এক প্রভাবশালী সভাপতি জানান, ‘বিভিন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের এমন বিপর্যয় ও দলটির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্নে উঠার কারণ হলো দুষ্টচক্রের গ্রুপিংয়ে সারা দেশেই এলোমেলো ছাত্রদল। ছাত্রদল এমনভাবে ঝিমিয়ে পড়লে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন সাবেক ছাত্রদলের এই নেতা।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি জানান, ‘কারো লেজুড়বৃত্তি না করে ছাত্রদল কাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, যা অন্য সংগঠনের চোখে লাগছে এবং তারা বিভিন্ন অপ্রচার করছে। আগামী দিনে ছাত্রদলের সদস্যরাই করবে রাজনীতি। তারা ক্যাম্পাসগুলোয় শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে কাজ করবে এবং সব সংকট মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করি।’
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘ছাত্রদল কতটা ঐক্যবদ্ধ তা বিভিন্নভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আশা করি, বিভিন্ন অপপ্রচার প্রতিরোধ করে আগামীর ছাত্রদল হবে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন