বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জালালউদ্দিন সাগর, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ১২:৫৮ এএম

বালুমহাল সোনার খনি, সে জন্য খুনোখুনি

জালালউদ্দিন সাগর, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ১২:৫৮ এএম

বালুমহাল সোনার খনি,  সে জন্য খুনোখুনি

চট্টগ্রাম জেলার ৭টি উপজেলার বৈধ এবং অবৈধ বালুমহাল থেকে বছরে ১ কোটি ঘনফুট বালু উত্তোলন এবং হাজার কোটি টাকার বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম। দিনে দুপুরে ব্রাশফায়ারসহ গুলিতে হত্যাকা- ঘটছে অহরহ। চট্টগ্রামে বালুমহাল নিয়ে দ্বন্দ্বে খুনোখুনির ঘটনা বাড়ায় জনমনে বাড়ছে আতঙ্ক। গত এক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, চট্টগ্রামে বালুকেন্দ্রিক আধিপত্যে খুন হয়েছে ছয়জন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন রাজনৈতিক নেতা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসীও। গত এক বছরে ৩টি হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে নগরীতে এবং বাকি ৩টি হত্যাকা-ের ঘটনা চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালুমহালের এক ঠিকাদার বলেন, চট্টগ্রামে প্রতি ১০০ ঘনফুট বালু বিক্রি হয় ১২শ থেকে ১৩শ টাকায়। যারা ইজারা নিয়েছেন তাদের চেয়ে যারা দখল করে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করেন তাদের লাভ অনেক বেশি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পরিবহন এবং বিক্রি হলেও এসব না দেখার ভান করেন পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। একাধিকবার অভিযোগ করেও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা যায়নি বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি বালুমহাল এক একটি সোনার খনি। যে আধিপত্য বিস্তার করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে বালুমহাল হয়ে যায় তার। এই আধিপত্যের কারণেই হত্যাকা- ঘটছে। 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আওতাধীন ৪৬টি বালুমহালের মধ্যে চলতি বাংলা বছরে ৩১টি বালুমহালের ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বাকি ১৫টি বালুমহাল কাক্সিক্ষত মূল্য না পাওয়ায় ইজারা দেওয়া হয়নি। তবে অভিযোগ রয়েছে, কাক্সিক্ষত মূল্যের অজুহাত দেখিয়ে ইজারা না দেওয়া সেসব বালুমহাল ইতোমধ্যে দখলে নিয়েছে অবৈধ দখলদাররা। আর সেসব বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করে অবৈধ সেল সেন্টারের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রিও করা হচ্ছে। মাসের পর মাস চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং সেসব বালু বিক্রির মহোৎসব চললেও কোনো এক অজানা কারণে সেসব দেখেও না দেখার ভান করছে থানা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বালুমহাল ছাড়াও জেলা-উপজেলার সংশ্লিষ্ট নদী ও খাল থেকে বালু উত্তোলন করে রাতের অন্ধকারে মহাসড়ক দিয়ে সেসব বালু পাচার করার অভিযোগ থাকলেও রাঘববোয়ালদের ভয়ে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ। কথিত রয়েছে, আওয়ামী সরকারের সময় বালুমহালের আধিপত্য ‘একক’ নেতার নির্দেশে চললেও গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামের বালুমহালগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের একাধিক গ্রুপ। এর মধ্যে রয়েছে বিএনপির নাম-পদবি ব্যবহার করা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীও। ফটিকছড়ি ও রাউজানে বিএনপি নেতা কামাল ও জসিমের বিরুদ্ধে বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ বেশি আলোচিত হলেও পিছিয়ে নেই শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও রায়হানও। বালুমহালের দ্বন্দ্বে ইতোমধ্যে জীবন দিতে হয়েছে রাউজানের বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ার বাবলাকেও।

নগর ও জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, গত ৩০ মার্চ ভোররাতে নগরীর চকবাজার চন্দনপুরা এলাকায় চলন্ত প্রাইভেট কারে গুলি করে বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহকে হত্যা শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের অনুসারীরা। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। নিহত এবং আহত সবাই শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ারের অনুসারী। পুলিশ বলছে, মূলত সারোয়ার হোসেন ওরফে বাবলাকে হত্যা করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছিল। সে যাত্রায় সারোয়ার হোসেন বাবলা বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষ হয়নি পুলিশের তালিকাভুক্ত এই শীর্ষ সন্ত্রাসীর। গত ৫ নভেম্বর বুধবার বিকেলে সারোয়ারের নিজ এলাকায় এসে মাথায় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে সারোওয়ারকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনি প্রচারের সময় এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন এরশাদ উল্লাহ নিজেও। অভিযোগ রয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সাথে বালুমহালকেন্দ্রিক আধিপত্যসহ বেশকিছু কারণে দ্বন্দ্ব ছিল সারোয়ার হোসেন বাবলার। এ কারণে সারোয়ারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে সাজ্জাদ বাহিনী।

৭ অক্টোবর আবদুল হাকিম হাটহাজারীর মদুনাঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন বিএনপি নেতা আবদুল হাকিম। রাউজানের নিজ বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে ফেরার সময় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে তার গাড়ির সামনে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে। রাউজানকেন্দ্রিক বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্যের জেরে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও বালুমহালের কথা ওঠে আসে।

১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নে সৌদি প্রবাসী আবদুল মান্নানকে বুকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। আবদুল মান্নান রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পশ্চিম সরফভাটার এলাকার নাজের আহমদের ছেলে এবং সরফভাটা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সহসভাপতি। রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন মান্নান। ভিডিও আপলোডের কারণে মান্নানকে হত্যা করে বালু পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি চক্র। এমন অভিযোগ মান্নানের স্বজনদের।

গত বছর ২১ অক্টোবর সোমবার চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার শমসের পাড়া এলাকায় দিনদুপুরে আফতাব উদ্দিন তাহসিন নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত তাহসিনের বাবা মোহাম্মদ মুসা। মামলায় সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হচ্ছেÑ সাজ্জাদের সহযোগী মো. হাসান,  মোহাম্মদ, খোরশেদ ওরফে খালাতো ভাই খোরশেদ ও হেলাল উদ্দিন। তথ্য সূত্র বলছে, এই হত্যাকা-ও ঘটেছে ‘বালু’ ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই।

হাটহাজারী পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আজিজ গণমাধ্যমকে সে সময় জানিয়েছিলেন, আব্দুল হাকিমকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে কর্ণফুলী নদী পাড়ের বালুমহলের নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী  ১৪৩২ বাংলা সনে ইজারা দেওয়া বালুমহালগুলোর মধ্যে রয়েছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৭টি। এর মধ্যে রয়েছে নারিশ্চা বালুমহাল ৩৫ হাজার ৬২৫ ঘটফুট বালুর ইজারা মূল্য ১৮ লাখ টাকা। শিলকখাল বালুমহাল (পদুয়াংশ)  ৯৭ হাজার ৫০০ ঘটফুট বালুর ইজারা মূল্য ৮ কোটি ৮০ লাখ ৮ হাজার ৮৮৮ টাকা। ঝংকার খাল বালুমহালে রয়েছে ৯৮ হাজার ৮১২ ঘটফুট বালু। ইজারা মূল্য ৮০ লাখ। ফকিরাঘাট বালুমহালে ৩ লাখ ঘনফুট বালুর ইজারা মূল্য ৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ইছামতি-২ বালুমহালে ৪ লাখ ৬০ হাজার ঘনফুট বালুর কথা উল্লেখ করেছে জেলা প্রশাসন। ইজারা মূল্য ৪৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা। ইছামতি-৩ বালুমহালে বালুর পরিমাণ ৬ লাখ ৭ হাজার ঘনফুট। ইজারা মূল্য ২৬ লাখ ১৩ হাজার। ইছামতি-৪ বালুমহালে বালুর পরিমাণ ২ লাখ ৩৫ হাজার ঘনফুট। ইজারা মূল্য ১৪ লাখ ৪০ হাজর ১০০ টাকা।

ফটিকছড়িতে বালুমহাল রয়েছে ১৬টি। এর মধ্যে ১০টি বালুমহালের ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইজারা দেওয়া হয়নি ৩টি। ফটিকছড়িতে ইজারা দেওয়া বালুমহালগুলোর মধ্যে রয়েছে রুপাইছড়ি-৩ বালুমহাল (১ লাখ ২০ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ১০ লাখ টাকা। গজারিয়া খাল বালুমহাল-১ (৩০ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গজারিয়া খাল বালুমহাল-২ (১৫ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ২ লাখ ২০ হাজার। ধুরং খাল বালুমাহলে রয়েছে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৪০ ঘনফুট বালু। যার ইজারা মূল্য ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। লেলাং খাল বালুমহাল (৯০ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মানিকপুর বালুমহাল (৪ লাখ ৪ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ৩০ লাখ টাকা। ফটিকছড়ি-গামারীতলা বিনজুুরী খাল বালুমহাল (৪ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ২ লাখ ১ হাজার ৫০০ টাকা। বালুখালী খাল প্রকাশ কাইটাইস্যা (৩ লাখ ৮৫ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ২৬ লাখ ১ হাজার ৫০০ টাকা। সত্তার খাল বালুমহাল (২ হাজার ২২০ ঘনফুট) ইজারা মূল্য ১৫ লাখ ২ হাজার। বারমাসিয়া খাল বালুমহালÑ বৈদ্যেরহাট (২৮ হাজার ৫০০ ঘনফুট) ইজারা মূল্য ৪৯ লাখ ১ হাজার। ইজারা ছাড়া বালুমহালগুলো হলোÑ গজারিয়া-৩ (২০ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ৬ লাখ ৬ হাজার ৫০০। ফনিখাল (১১ হাজার ৫০০ ঘনফুট) ইজারা মূল্য ১ লাখ ১০ হাজার। শোভনছড়ি (৬০ হাজর ৫০০ ঘনফুট) ইজারা মূল্য লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা। পশ্চিম মন্দাকিনি খাল (১৭ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ১ লাখ ৬৫ হাজার। বেতুয়া (৮ হাজার ৫০০ ঘনফুট) ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা। ডলু বালুমহাল (৩৩ হাজার ৬১৩ ঘনফুট) ৪ লাখ ১৩ হাজার ৫০ টাকা।

রাউজানে বালুমহাল রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে ৫টি বালুমহালের ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বাকি ৫টি এখনো ইজারা দেওয়া বাকি। ইজারা দেওয়া বালুমহালগুলো হলোÑ রাউজানের কর্ণফুলী-১ (৪ লাখ ঘনফুট) ইজারা মূল্য ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার। রাউজান খাল বালুমহাল (৬৫ হাজার ১২৭ ঘনফুট) ইজারা মূল্য ২ লাখ ২০ হাজার। কর্ণফুলী-২ (২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট)  ইজারা মূল্য ১ কোটি ৩৩ লাখ ৯ হাজার ৪৩৮ টাকা। রাউজানের ফটিকছড়ি ছড়া বালুমহাল (১ লাখ ৬ হাজার ৬৬৬ ঘনফুট) ইজারা মূল্য ৩ লাখ। সর্ত্তা খাল বালুমহাল-৪ (৬০ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ২ লাখ টাকা। ইজারা ছাড়া রাউজানের বালুমহাল সর্ত্তা খাল-১ (১ লাখ ২০ ঘনফুট) ইজারা মূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার। সর্ত্তা খাল-২ (৩৮ হাজার ঘনফুট) ৭৭ হাজার টাকা। ডাবুয়া খাল-১ (২০ হাজার ঘনফুট) ৪৪ হাজার টাকা। ডাবুয়া খাল-২ (৮০ হাজার ঘনফুট) ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কাশমালি খাল (৬৯ হাজার ১৩০ ঘনফুট) ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম জেলার পটিয়ার বালুমহালগুলোর মধ্যে রয়েছে খরণা বালুমহাল (৪০ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ৭ লাখ ১ হাজার। চানখালী খাল বালুমহাল (১৩ হাজার ঘনফুট) ১ লাখ ৫০ হাজার

চন্দনাইশ উপজেলায় বালুমহালের সংখ্যা ৬টি। এর মধ্যে ৫টি ইজারা। ১টির ইজারা দেয়নি জেলা প্রশাসন। চন্দনাইশে ইজারা দেওয়া বালুমহালগুলো বরগুনী খাল বালুমহাল-গাছবাড়ীয়া পৌরসভা অংশ (৫১ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ৫০ লাখ ৩ হাজার ১০০ টাকা। বরমতি খাল বালুমহাল-হাশিমপুর অংশ-১ (২ লাখ ঘনফুট) ১৭ লাখ ১২ হাজার টাকা। ডলুখাল বালুমহাল (৭ লাখ ঘনফুট) ১ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার ২৫১ টাকা। গুইল্যাছড়ি বালুমহাল (৫০ ঘনফুট) ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৯ হাজার ৯৯ টাকা। বরগুনীখাল বালুমহাল-হাশিমপুর অংশ (২ লাখ ঘনফুট) ৮০ লাখ ৬ হাজার টাকা। চন্দনাইশে ইজারা দেওয়া ছাড়া বালুমহাল বারুমতি খাল-২ (১ লাখ ঘনফুট) ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫৫০ টাকা।

লোহাগাড়া উপজেলার ৪টি বালুমহালের মধ্যে মাত্র একটি বালু মহালের ইজারা দিতে পেরেছে জেলা প্রশাসন। বাকি তিনটি বালু মহালের ইজারা দেওয়া হয়নি। ইজারা দেওয়া বালুমহাল হলো জামছড়ি বালুমহাল (২০ লাখ ঘনফুট) ১৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

এ ছাড়া চরম্বা বালুমহাল-৩ (২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ২০ লাখ টাকা। উত্তর পাদুয়া (২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট) ইজারা মূল্য ২০ লাখ টাকা। চরম্বা মাইজবিল (৫ লাখ ঘনফুট) ৪০ লাখ টাকা। সাতকানিয়া উপজেলায় একমাত্র বালুমহাল সোনাইছড়ি খাল (৪৩ হাজার ঘনফুট) ৫০ লাখ টাকা।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, সব নিয়ম মেনেই বালুমহালের ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারা মূল্যের কাছাকাছি কেউ ছিল না বলে ১৫টি বালু মহালের ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!