উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র রংপুর চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পতি রোমিও ও জুলিয়েটের ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। আদর করে ছানাটির নাম রাখা হয়েছে ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’। এরই মধ্যে তার বয়স দেড় মাস পেরিয়েছে। বাঘ শাবককে একনজর দেখতে ভিড় করছে দর্শনার্থীরা।
প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসছেন রংপুর চিড়িয়াখানায়। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষ বাঘের ছানাটি একঝলক দেখার জন্য ভিড় করছে খাঁচার সামনে। দর্শনার্থী এক শিশু নাঈম বলে, ‘বাঘের বাচ্চা দেখে খুব ভালো লেগেছে। আমি খুব খুশি।’
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে রংপুরে আনা হয় বাঘ দম্পতি রোমিও ও জুলিয়েটকে। ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তাদের জন্মদিন কেক কেটে উদযাপনও করা হয়। এরপর দীর্ঘ সময় তাদের কোনো সন্তান না থাকায় দর্শনার্থীদের মধ্যে একধরনের অপূর্ণতা ছিল। অবশেষে জুলিয়েটের কোলজুড়ে এসেছে ছোট্ট ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আমবার আলী তালুকদার জানান, ‘প্রায় দেড় মাস আগে বাঘিনী একটি পুরুষ বাচ্চা প্রসব করে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিন মাস বয়স না হওয়া পর্যন্ত আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাইনি। কিন্তু এখন অনেকেই খবর পেয়ে বাচ্চাটিকে দেখতে আসছে।’
তিনি আরও জানান, বাঘের ছানা এবং তার মা-বাবাÑ তিনজনই সুস্থ আছে। বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে খাঁচা পরিষ্কার ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। রংপুর চিড়িয়াখানায় বর্তমানে পশুর সংখ্যা ২৬৭, যেগুলো ৩৪টি প্রজাতির। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে রয়েছে তিনটি বাঘ, একটি সিংহী, তিনটি জলহস্তী, ৬২টি হরিণ, আটটি ময়ূর, দুটি অজগর, একটি উটপাখি ও ৯টি বানর।
১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানা ২১ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে। দিনে দিনে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দর্শনার্থী সাহানুর ও মনির জানান, ‘বাঘের বাচ্চার খবরটা আগে জানতাম না। আজ দেখে দারুণ লাগছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা খুবই উচ্ছ্বসিত।’ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আশাবাদী, ডোনাল্ড ট্রাম্প নামের এই বাঘ শাবক দর্শনার্থীদের জন্য এক নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠবে।