পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭ বছর হয়েছে। কাজেই চট করে বাস্তবায়ন করে ফেলতে পারবÑ আপনারাও প্রত্যাশা করবেন না, আমরাও করি না। বর্তমান সরকার গুরুত্বসহকারে চাচ্ছে এ অঞ্চলে পরিপূর্ণভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, যাতে করে অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। গতকাল রোববার সকালে বান্দরবানে পার্বত্য জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষক ও নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এসব কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, বান্দরবানের পরিবেশ অনেক সহনীয়। যেখানে সার্বিকভাবে সম্পদ কম, সেখানে মানুষ হতে হবে সম্পদ। জিপিএ-৫ এর দিকে ছুটতে ছুটতে গত ২০ বছরে এ অঞ্চলে শিক্ষাব্যবস্থার প্রবল অবনতি হয়েছে। শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কোয়ালিটি এডুকেশন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বেশি নজর দেওয়া দরকার। এখানে বান্দরবান জেলায় চার লাখের অধিক মানুষের মধ্যে এক লাখ বারো হাজারের মতো মানুষ অতিদারিদ্র্য, খাগড়াছড়ি জেলার ছয় লাখের অধিক মানুষের মধ্যে অতিদারিদ্র্য এক লাখ আট হাজারের মতো এবং রাঙামাটি জেলায় সাড়ে পাঁচ লাখের অধিক মানুষের মধ্যে নব্বই হাজারের মতো মানুষ অতিদারিদ্র্য। সুতরাং সবদিক থেকেই বান্দরবানবাসী পেছনের দিকে রয়েছেন।
নিজেদের কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেটি স্থানীয় দায়িত্বশীলদের পরিকল্পনা করে অগ্রসর হতে হবে। সরকারের বরাদ্দের কোনো ঘাটতি নেই, সরকারি বরাদ্দ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারায় অর্থ ফেরত যাচ্ছে। এ সময় অন্যদের মধ্যে বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অনুষ্ঠান শেষে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ফলদ গাছের চারা রোপণের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য শতাধিক কৃষক ও নারী উপকারভোগীদের মাঝে বিভিন্ন ফলদ ও বনজ চারা, গবাদিপশু, সেলাই মেশিন এবং গর্ভবতী/প্রসূতি মহিলা ও নবজাতক শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।