ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

চাকসু নির্বাচনের তপশিল  ঘোষণা বৃহস্পতিবার

চবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৫, ১২:০৭ এএম

অনেক জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে আগামী বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশনের সব প্রস্তুতি শেষের পথে, শিগগিরই প্রকাশ করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধিও।

গতকাল রোববার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চাকসু ভবনের দোতলায় আমরা নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় স্থাপন করেছি। আজকের (গতকাল) মধ্যেই প্রস্তুতি শেষ হবে বলে আশা করছি। শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা হাতে পাব। একটি মিটিং করে এ সপ্তাহের শেষদিকে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

কমিটির সদস্যসচিব ও শহিদ আব্দুর রব হলের প্রধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, সর্বশেষ ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। নির্বাচনি আচরণবিধির খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। তপশিলও এ সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ ৩৪ বছরের প্রত্যাশার এই নির্বাচন আমরা আয়োজন করতে যাচ্ছি। সার্বিক প্রস্তুতি শেষ। বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করা হবে তপশিল। শিগগিরই সবাই জানতে পারবেন কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে চাকসু নির্বাচনের তপশিলসহ তিন দাবিতে মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামি ছাত্রশিবির। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন হয়। বেলা দেড়টার দিকে শিবিরের এ মানববন্ধন শেষ হয়। পরে সংগঠনটির সাতজন প্রতিনিধি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও চাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিনের সঙ্গে সভা করেন। সভা শেষে শাখা ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক হাবিব উল্লাহ খালেদ বলেন, চাকসু নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার তপশিল ঘোষণা করা হবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।

শিবির নেতার মন্তব্যের পর বিষয়টি নিশ্চিত হতে প্রশাসনের বক্তব্য জানতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তিনি মন্তব্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম চাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি শিক্ষাবর্ষে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ বার এ নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। পরে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মুখোমুখি অবস্থান, সংঘর্ষ ও অনুকূল পরিবেশ না থাকায় আর কোনো নির্বাচন হয়নি। তবে গত বছর আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীরা চাকসু নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন।