কম্বাইন্ড ডিগ্রি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত আশানুরূপ না হওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবি করা শিক্ষার্থীরা জরুরি সভায় উপাচার্যসহ উপস্থিত ২৭৭ শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বেলা ১১টায় কম্বাইন্ড ডিগ্রি ইস্যু সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা শুরু হয়।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে দুই অনুষদের শিক্ষার্থীরা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের আশপাশে জড়ো হতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি ছিল, এক পেশায় এক ডিগ্রি, কম্বাইন্ড ডিগ্রি। পরে দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত আশানুরূপ না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিলনায়তনে সব শিক্ষককে একত্রে অবরুদ্ধ করে তালা লাগিয়ে দেন।
সূত্র জানায়, একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে কম্বাইন্ড ডিগ্রির পাশাপাশি বিএসসি ইন অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিনও থাকবে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাকৃবি। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি মেনে নেননি। তারা চান এক পেশায় এক ডিগ্রি, কম্বাইন্ড ডিগ্রি। ফলে শিক্ষকদের তারা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
এ সময় বাকৃবির পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী আতিক বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, এক পেশায় এক ডিগ্রি চাই। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিল তিনটা আলাদা ডিগ্রি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আমাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হলো। আমরা চাই কম্বাইন্ড ডিগ্রি যেন একক ডিগ্রি হিসেবে স্বীকৃত হয়। অন্যথায় পেশাগত জীবনে বিভ্রান্তি তৈরি হবে। তাই আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
ভেটেরিনারি অনুষদের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘৬০ বছরের সমস্যা কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু ছাড়া সমাধান হবে না। আলোচনায় আরও একটি ডিগ্রি বাড়িয়ে তিনটি করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আমাদের অবরুদ্ধ করেছে। আমি অবরুদ্ধ সেটা বিষয় নয়, চাই সমস্যার দ্রুত সমাধান।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন