জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তোমাদের জয়ধ্বনি শোনা যায়, তোমাদের সংগ্রামের স্বীকৃতি হবে, তোমাদের বিজয়ের আনন্দ হবে এবং আগামী দিনে তোমরা এ দেশের নির্মাতা হবে। তিনি বলেন, আজকের কন্যাশিশু আগামীর নারী।’
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়টি যেন আমাদের কন্যাশিশুদের বিকাশের ক্ষেত্রে ইতিবাচক দিকগুলোকেই ইঙ্গিত করে। এবারের প্রতিপাদ্য হলো : ‘আমি কন্যাশিশু- স্বপ্নে গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি’।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী। একটি কন্যাশিশু সমাজ, রাষ্ট্র তথা পরিবার থেকে বৈষম্যের শিকার হয়েই নারী হিসেবে বেড়ে ওঠে, কিন্তু কন্যাশিশুর অন্ধকারে রেখে একটি সুষ্ঠু সমাজ কাঠামো যেমন গড়ে তোলা সম্ভব নয়, তেমনি দেশকে আলোকিত করাও সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, কন্যাশিশুদের অগ্রগতিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলোর বিপরীতে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রকে কী কী করণীয় করতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা এবং সমাধানের পথ খুঁজে বের করে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কন্যাশিশু এখন আর বোঝা নয় বরং প্রমাণ করেছে সুযোগ পেলে তারা দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠতে পারে। ভুললে চলবে না, একজন নারী, একজন মানবসম্পদ আর কন্যাশিশু তার অঙ্কুর। বাংলার নারীরা আজ ঈর্ষাণীয় সাফল্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, শিক্ষিত হচ্ছে, নতুন পেশায় জড়িত হচ্ছে, ফুটবল আর ক্রিকেট খেলছে, নারীরা এভারেস্টের চূড়া জয় করছে, নারীরা আজ কোথায় নেই। তিনি বলেন, যখন মেয়েরা, শিশুরা মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় তখন দেশও মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন