এই তো সে দিন সংগীত জীবন শুরু করেছি। এ দীর্ঘ সময় টিকে থাকা অনেক বড় ব্যাপার। স্রষ্টার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। আপনাদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত। এটা যেন গর্বের বিষয় না হয়ে যায়। আমি যেন আরও কিছু করতে পারি। এখনো শিখছি, চেষ্টা করছি। আমি কোনো পেশাদার শিল্পী নই। গাইতে গাইতে গায়েন হয়েছি। কিছুই করতে পারিনি জীবনে।
৫০ বছর ধরে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া অনেক বড় বিষয়। গান দিয়ে আমি সেই জায়গা পেয়েছি। মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। নিজের সংগীত জীবনের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘নকীব খান ফিফটি ইয়ারস সেলিব্রেশন’ অনুষ্ঠান কথাগুলো বলছিলেন নন্দিত সুরকার, কণ্ঠশিল্পী নকীব খান।
টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (টিজেএফবি) উদ্যোগে এদিন নকীব খানকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম, রফিকুল আলম, ফেরদৌস ওয়াহিদ, বাপ্পা মজুমদার, সৈয়দ আবদুল হাদী, শওকত আলী ইমন, রবি চৌধুরী, ন্যান্সি, মিল্টন খন্দকার, ফোয়াদ নাসের বাবু, মনির খান, আসিফ ইকবাল, পার্থ বড়ুয়া, জালাল উদ্দীন খান জিলু, সাব্বির জামান প্রমুখ।
জন্মস্থান চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয় নকীব খানের সংগীতের যাত্রা। বালার্ক ব্যান্ডে গায়ক, পিয়ানিস্ট ও শিল্পী হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ হয়। এরপর ১৯৭৪ সালে তিনি যোগ দেন সোলসে। এ ব্যান্ডে প্রায় ১০ বছর ছিলেন নকীব খান। এরপর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে ১৯৮৫ সালে গড়ে তোলেন নিজের ব্যান্ড রেনেসাঁ। সেই থেকে রেনেসাঁ নিয়েই শ্রোতাদের ভালোবাসা কুড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান।
এর আগে গত জানুয়ারিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নকীব খানের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন