কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আসমানিয়া এলাকায় গোমতী নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ ধীরগতিতে চলায় সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি ভেঙে ফেলার পর ডাইভার্শন ব্রিজ তৈরি করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ফলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট সেতুটির কাজ শুরু করে এসএ বিটি এন এসি নামের যৌথ দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১০ কোটি ৭৭ লাখ ২৪ হাজার ৬৯৯ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণের চুক্তি হয়। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও উদাসীনতায় কাজ এগোচ্ছে ধীরগতিতে। এতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটি আসমানিয়া বাজারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় বাজারটিতে। এখানে রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, ভূমি অফিস, ডাকঘর, দুটি কলেজ, চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি বেসরকারি কেজি স্কুল, ছয়টি মাদ্রাসা, ১২টি এনজিও অফিস, সাতটি এজেন্ট ব্যাংক ও দুটি সরকারি ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতকারী লক্ষাধিক মানুষের ওপর সেতুটির ওপর নির্ভরশীল।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি করে সেতুর কাজ শেষ করার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন বরাবর লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম হানিফ এবং ইউপি সদস্য মো. ছবির হোসেন।
এ বিষয়ে ইউএনও সুমাইয়া মমিন বলেন, ‘সেতুটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য এলাকাবাসীর আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
তিতাস উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী ও সেতু নির্মাণকাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। তাদের দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে।’