শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ০৩:২৬ এএম

দুর্ভোগে সাধারণ গ্রাহক

গণছুটিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারী

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ০৩:২৬ এএম

গণছুটিতে পল্লী বিদ্যুতের  কর্মকর্তা-কর্মচারী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার দফা দাবিতে গণছুটি পালন করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির কারণে গ্রাহকরা বিল পরিশোধ, সংযোগ প্রদান ও অন্যান্য জরুরি সেবা পাচ্ছেন না। একই সঙ্গে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ ঘাটতির কারণে তীব্র লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।


গণছুটির পঞ্চম দিন গতকাল বৃহস্পতিবার কসবা জোনাল বিদ্যুৎ অফিসে দেখা যায়, অফিসে লোকজন থাকলেও সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।


মূলগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা আজাদ মিয়া বলেন, এসেছিলাম সেবা নিতে, তবে আসার পর কাউকে দেখতে পেলাম না, তাই বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। বিনাউটি গ্রামের জসিম বলেন, বিল বকেয়া থাকায় আমার মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, আজ (গতকাল) টাকা নিয়ে এসে দেখি কেউ নেই। এটা আমাদের সঙ্গে অন্যায় করছে পল্লী বিদ্যুৎ।


আরেক গ্রাহক আলাউদ্দিন জানান, বিল পরিশোধের জন্য এসে ফেরত যাচ্ছি, অফিসে কেউ নেই। তারই সঙ্গে গত তিন দিন ধরে মারাত্মক লোডশেডিংয়ে আমরা বিপর্যস্ত। সরকারের কাছে দ্রুত সমস্যার সমাধান চাই।


স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘ সময় এমন অবস্থা চলতে থাকলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে। তাই দ্রুত দাবি-দাওয়া নিষ্পত্তি করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
কসবা জোনাল বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, জাতীয় গ্রিডে সমস্যা থাকায় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের অফিসের প্রায় ৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গণছুটিতে থাকায় গ্রাহক পর্যায়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাদের মধ্যে লাইনম্যান, মিটার রিডার, ক্যাশিয়ারসহ নানা পর্যায়ের কর্মচারী রয়েছেন। এ অবস্থায় গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।


কসবা সদর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফিরোজ হোসেন জানান, তার অফিসে মোট ৬৪ জন স্টাফের মধ্যে ৪৩ জন বর্তমানে গণছুটিতে রয়েছেন। ফলে গ্রাহকসেবা বিঘিœত হচ্ছে। তবুও সীমিত জনবল নিয়ে সেবা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!