মাদারীপুরে মসজিদের সামনের সরকারি জায়গা দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুসল্লিরা। গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কুঁচিয়ামোড়া হাজি আমিরুন্নেছা জামে মসজিদের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগ করা হয়, দুবার সালিশ মেনে স্বাক্ষর করলেও বর্তমানে জায়গা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন হালিম মাতুব্বর (৭০), সুজাত মাতুব্বর, রাজীব মাতুব্বর ও রশিদ মাতুব্বরের পরিবারের সদস্যরা।
মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজি লুৎফর মোল্লা জানান, মসজিদের পাশে সরকারি দুই শতাংশ জায়গায় ডোবা ছিল। মুসল্লিদের চলাচলের জন্য ডোবাটি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় মসজিদ তহবিলের টাকা দিয়ে ভরাট করা হয়। কিন্তু সেই জায়গার পাশে বাড়ি হওয়ায় এখন জোরপূর্বক দখল করে ঘর তুলতে চান হালিম মাতুব্বর (৭০), সুজাত মাতুব্বর, রাজীব মাতুব্বর ও রশিদ মাতুব্বরের পরিবারের সদস্যরা। এর আগে দখল করতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশ ফাঁড়িতে দুবার সালিশ হয়েছে। তখন সবাই মসজিদের পক্ষে রায় দিলে অভিযুক্তরাও জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য সালিশ মেনে নিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন। তবে এখন তারা কিছুই মানছেন না। তারা সরকারি জায়গা দখল করে ঘর তোলার চেষ্টা করছেন।
অভিযুক্তদের দাবি, যাদের ঘরের পাশে সরকারি জায়গা, তারাই ভোগ করবে। তাই তারা ওই জমিতে রান্নাঘর তুলেছেন।
মসজিদের দাতা সদস্য জালাল হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘আমি মসজিদের জন্য ২৫ শতাংশ জায়গা দিয়েছি। কিন্তু মুসল্লিদের সুবিধার্থে মসজিদের ফান্ডের টাকা দিয়ে খাসজমি ভরাট করে মসজিদকে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্তরা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন। পরে তাদের ১০/১১ ফুট একটা ঘর তোলার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে এখন তারা পুরো জায়গাটি ঘর তুলে দখল করতে চাইছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজি লুৎফর রহমান মোল্লা, দাতা সদস্য জালাল হোসেন মাতুব্বর, স্থানীয় মুসল্লি আ. রহমান শিকদার, চান মিয়া শিকদার, জয়নাল হাওলাদার, মামুন মাতুব্বর, নুরুল হক ফকির, তোফাজ্জল হাওলাদার, আবু সাইদ মুন্সী, হান্নান মাতুব্বর, সাওন মোল্লা, শাজাহান মাতুব্বর, দিদার মাতুব্বর প্রমুখ।

