নাটোরের নলডাঙ্গার বাজারগুলোতে সংঘবদ্ধ চক্রের তৎপরতায় ছড়িয়ে পড়ছে জাল টাকা। না বুঝে জাল টাকা লেনদেন করে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও জনসাধারণ।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই এমন অভিযোগ বেশি আসছে। ভ্রাম্যমাণ হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাতে দুষ্টচক্র এ ধরনের টাকা ধরিয়ে দিচ্ছে। উপজেলার ব্যাংকগুলোতে জাল টাকা শনাক্তের মেশিন রয়েছে। কিন্তু ক্ষুদ্র ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা শহরের নানা প্রান্তে পণ্য বেচাকেনার সময় দ্রুত লেনদেনে জাল টাকা গ্রহণ করে প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বাজারের ব্যবসায়ী রাশেদ আলম জানান, সম্প্রতি তিনি ৫০০ টাকার জাল নোট পেয়েছিলেন। পরে ব্যাংকে ডিপিএসের টাকা জমা দিতে গেলে মেশিন টাকাটি শনাক্ত করে। শেষ পর্যন্ত টাকাটা পুড়িয়ে দিতে হয়েছে। এতে করে তিনি আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন।
মাধনগর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাকিব হোসেন বলেন, তিনি ৫০০ ও ১০০০ টাকা জাল নোট পেয়েছেন। পরে বুঝতে পেরে সেই টাকা ছিঁড়ে ফেলেছেন। দোকান থেকে ওই পরিমাণ টাকার পণ্য চলে যাওয়ায় তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, সংঘবদ্ধ চক্র জাল টাকা ছড়িয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন কৌশলে। বিশেষ করে দোকানে ত্রতাদের ভিড়ের সময় ও রাতে এ ধরনের টাকা বেশি লেনদেন হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র কৌশলে এসব টাকা ছড়িয়ে দিলেও তারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এসব জাল টাকা চক্রের বিষয়ে অনুসন্ধান জোরদার করা হয়েছে। আশা করছি, দুর্বৃত্তদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনতে পারব।’

