দীর্ঘদিন ধরে শুটিং ফেডারেশনের কমিটির অপেক্ষায় ছিল দেশের ক্রীড়াঙ্গন। অবশেষে গতকাল ১৯ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। শুটিং ফেডারেশনের সভাপতি করা হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এবং বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব বেশ ক্রীড়ানুরাগী। দুই সহসভাপতির মধ্যে একজন ব্যবসায়ী রোমো রউফ চৌধুরী। আরেক সহসভাপতি আব্দুস সালাম খান বিগত সময়ে সহসভাপতি ছিলেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ঘোষিত অ্যাডহক কমিটির মধ্যে জুডোর পর শুটিংয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নারী সংগঠক মনোনীত হয়েছে। ফুটবল, ক্রিকেট বাদে অন্য ফেডারেশনগুলো মূলত সাধারণ সম্পাদকনির্ভর। শুটিং ফেডারেশনে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে নারী ক্রীড়া সংগঠক বেগম আলেয়া ফেরদৌসকে। তিনি ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্রীড়া শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা, শুটিং ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব ছিলেন। ক্রীড়া সংগঠকের পাশাপাশি তিনি অভিনেত্রীও। আলেয়া ফেরদৌসের বয়স প্রায় আশির কাছাকাছি। এই বয়সে শুটিংয়ের মতো ব্যয়বহুল ও সংবেদনশীল ফেডারেশন পরিচালনা বেশ কষ্টসাধ্য। সম্প্রতি কুস্তি ফেডারেশনে সাধারণ সম্পাদক রদবদল হয়েছে বয়স ও অসুস্থতার কারণে। যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন জি এম হায়দার। সাবেক এই শুটারই মূলত ফেডারেশন নীতি-নির্ধারণ পরিচালনায় বড় ভূমিকা রাখবেন বলে ধারণা শুটিং-সংশ্লিষ্টদের। জি এম হায়দারের বিগত সময়ের কর্মকা- নিয়ে শুটিংয়ের এক অংশের অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। সদস্যদের মধ্যে সাবেক শুটার ও শুটিং-সংশ্লিষ্ট সংগঠকেরা রয়েছেন। সেনা, নৌ ও বিকেএসপির একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে সদস্য হিসেবে। সাইফুল আলম রিংকি, সাবরিনা সুলতানা ও শারমিন আক্তার রত্নার মতো তারকা শুটার কমিটিতে নেই। শুটিং ফেডারেশনের কমিটি সার্চ কমিটি জমা দিয়েছিল কয়েক মাস আগে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংবেদনশীল খেলাটির কমিটি যাচাই-বাছাই করেছে সময় নিয়ে। এতে কমিটি প্রকাশ পেতে অপেক্ষা বেশি হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনুমোদিত ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশনের সংখ্যা ছিল ৫৫। তিনটি অ্যাসোসিয়েশন একীভূত হওয়ায় এখন দাঁড়িয়েছে ৫২। ফুটবল ও ক্রিকেট বাদে বাকি ৫০ ক্রীড়া সংগঠনের মধ্যে এখন শুধু মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি ঘোষণা হয়নি।