ঢাকা সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

ধর্ষণের অভিযোগ

সিলেট আ.লীগের চার নেতা ভারতে গ্রেপ্তার

সিলেট ব্যুরো
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ০৯:২৩ এএম
ফাইল ছবি

ধর্ষণের অভিযোগে ভারতে সিলেটের চার আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে সে দেশের পুলিশ। রোববার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাতেই তাদের মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে নেওয়া হয়। তারা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সহসভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরও দুজন ভারতেই পলাতক রয়েছেন।

এরা হলেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু। শিলং পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতারা সিলেট থেকে পালিয়ে শিলংয়ে অবস্থান করার সময় তাদের আবাসস্থলে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিলং থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও আরও দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।

সূত্র জানায়, কলকাতার ওই ফ্ল্যাট থেকে নাসির, মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউপি চেয়ারম্যানকেও গ্রেপ্তার করেছিল শিলং পুলিশ। পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাদের ছাড়াতে তদবির শুরু করেন। এরপর মামলার এজাহারে নাম না থাকায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে কলকাতায় বসবাসরত সিলেট আওয়ামী লীগের একাধিক দলীয় নেতা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অপর একটি সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন মূলত সিলেট মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা নাসির ও যুবলীগ সভাপতি মুক্তিসহ সবাই এক ফ্ল্যাটে অবস্থান করায় তাদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে। তাই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

সূত্রমতে, ঘটনার পরপরই অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি শিলং থেকে পালিয়ে কলকাতায় চলে যান। শিলংয়ের ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে তারা সবাই একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। এদিকে ঘটনাটি দ্রুত সিলেটের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ঘটনাটির কারণে আওয়ামী লীগ বিব্রত অবস্থায় পড়েছে।