বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মো. সাহাব উদ্দিন, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৫, ০৯:১১ এএম

কোম্পানির এজেন্টদের শর্তে ক্লান্ত দোকানিরা

মো. সাহাব উদ্দিন, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৫, ০৯:১১ এএম

কোম্পানির এজেন্টদের শর্তে ক্লান্ত দোকানিরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে কোম্পানির এজেন্টদের কাছে নানা রকম শর্তের মুখে পড়ছেন চট্টগ্রামে ভোজ্যতেল বিক্রয় করা খুচরা ব্যবসায়ীরা। রমজান সামনে রেখে গত দেড় মাস ধরে তেল কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে কোম্পানির অপ্রয়োজনীয় অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। 

যে কারণে দোকানিরাও বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করছেন। কেউ কেউ আবার সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নিচ্ছেন বাড়তি মূল্য।

ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজানকে কেন্দ্র করে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। তাদের মতে, মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে গোপনে তেল মজুদ করে সংকট তৈরি করছেন।

কয়েকজন দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সয়াবিন তেল কিনতে হলে কোম্পানিগুলোর শর্ত মানতে হচ্ছে। যেমন রূপচাঁদা কোম্পানির তেল কিনতে হলে তাদের কোম্পানির সরিষার তেল ও চাল কিনতে বাধ্য করা হয়। পুষ্টি কোম্পানির তেল কিনতে হলে সরিষার তেল ও চা-পাতাও নিতে হয়। 

তীর কোম্পানির তেল কিনতে হলে সরিষার তেল ও চাল নিতে হয় এই কোম্পানির। ফ্রেশ কোম্পানির তেল কিনতে হলে তাদের আটা-ময়দাসহ নানা পণ্য কেনার শর্ত রাখা হয়। কোম্পানির এসআরদের শর্ত অনুসারে এসব পণ্য না কিনলে সয়াবিন তেল পাওয়া যায় না।

দোকানিরা আরও জানান, অনেক কোম্পানি বলছে, তাদের কাছে তেল নেই, কিন্তু চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও রিয়াজউদ্দিন বাজারে এসব কোম্পানির তেল পাওয়া যাচ্ছে। 

তবে তাদের কাছ থেকে তেল কিনতে গেলে প্রতি কেজি ১০-১৫ টাকা বাড়তি দাম দিতে হয়। যদিও এসব তেলের গায়ে বিক্রয় মূল্য ১৭৫ টাকা লেখা রয়েছে। ফলে এসব তেল বাড়তি দামে বিক্রি করতে গেলে তাদের কাস্টমারদের কাছে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।

এদিকে খাতুনগঞ্জ ও রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি দোকান থেকে সয়াবিন তেল কেনার সময় বিক্রয় রসিদ না দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তবে গত দেড় মাস ধরে খাতুনগঞ্জে সয়াবিন তেলের বাজার অস্বাভাবিক বলে জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর শর্তের বিষয়ে জানতে তীর সয়াবিন তেলের মেহেদীবাগ এলাকার এসআর আলাউদ্দিনকে কাস্টমার সেজে ফোন করা হলে ‘ডিলারের কাছে আপাতত কোনো সয়াবিন তেল নেই’ বলে জানান। সয়াবিন তেল কেনার সময় অন্য কোনো পণ্য কিনতে হয় কি না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আগে তেল আসুক তখন জানাব।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদপুর এলাকায় রূপচাঁদা সয়াবিন তেলের ডিলারের দায়িত্বে থাকা মো. রিপন বলেন, আমাদের কোম্পানি থেকে সরিষার তেল ও চিনিগুড়াঁ চাল বিক্রির একটা টার্গেট থাকে, তাই আমরা দোকানদারদের অনুরোধ করে থাকি তেলের সঙ্গে অন্য পণ্যগুলোও কেনার জন্য। 

কোম্পানিগুলোর এমন শর্তের বিষয়ে ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, এটা ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘন। এক পণ্য কিনতে হলে অন্য পণ্য কেনার শর্ত জুড়ে দেওয়া ঠিক নয়। 

দোকানিরা এই বিষয়ে ভোক্তা অধিকার দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, সয়াবিন তেল নিয়ে মিল মালিক ও পাইকারি বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দেন। প্রশাসন যদি আরও তৎপর হয়, তবে বাজারে দুষ্ট লোকদের প্রভাব কিছুটা কমবে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!