বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম

মসজিদের রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব, লাশ দাফনে বাধা!

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম

মসজিদের রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব, লাশ দাফনে বাধা!

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মসজিদের যাতায়াত রাস্তা নিয়ে সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় লাশ দাফনেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পক্ষের বিরুদ্ধে।

রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর বেপারীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগ থেকে জানা গেছে, কৃষ্ণপুর বেপারীপাড়া নূরানী জামে মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রায় এক বছর ধরে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। মসজিদমুখী যাতায়াতের জন্য সরকারি রেকর্ডভুক্ত ১৭২ ফুট একটি রাস্তা রয়েছে, যার মালিকানা মৃত ইয়ার হোসেনের ছেলে মো. ওয়াজ করুনীর নামে পৈত্রিক সূত্রে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একই গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে লাল মাহমুদ ও তার সহযোগীরা এক বছর আগে ওই রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে নেয়। ফলে সমাজের প্রায় ২০০ মানুষের চলাচলে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়।

গত বৃহস্পতিবার ওয়াজ করুনীর ভাই দেলোয়ার হোসেন ইমামুল মারা গেলে জানাজার পর তাকে সমাজের কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, ওই সময় লাল মাহমুদ, হবিবুর রহমান, শামস উদ্দিন, নাজমুল, মুস্তাজ আলী, হাসেম, হারুন, শাহিন মিয়া, রাজা মিয়া, আবু বক্কর গং লাশ দাফনে বাধা দেন। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের চাপে শেষ পর্যন্ত একই গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

এ বিষয়ে ওয়াজ করুনী বলেন, ‘সুদ-ঘুষ নিয়ে ওয়াজ করায় মসজিদের ইমাম সাহেবের বিরোধে সমাজে ফাটল ধরে। ফলে মসজিদের ১৫০টি পরিবারের মধ্যে ১২০টি পরিবার একদিকে, বাকি ৩০টি পরিবার অন্যদিকে অবস্থান নেয়। আমাদের জমির ওপর দিয়ে মসজিদের রাস্তা দিয়েছিলাম, যা তারা দখল করে নিয়েছে। এখন নামাজে যেতেও সমস্যা হয়, এমনকি আমার ভাইয়ের দাফনেও বাধা দেওয়া হয়েছে।’

অভিযুক্ত লাল মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কারো রাস্তা দখল করিনি, লাশ দাফনে কোনো বাধাও দেইনি। তারা ঠিকভাবেই দাফন করেছেন।’

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরবি/এসআর

Link copied!