রাজশাহীতে বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন জুলাইযোদ্ধারা। তাদের একাংশ আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজশাহী রেলস্টেশনে রেললাইনের ওপর বসে পড়েন, কেউ কেউ শুয়ে পড়েন। এতে রাজশাহী থেকে ট্রেন চলাচল প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, জুলাইযোদ্ধাদের জন্য ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯১ টাকা ভাড়া দিয়ে একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। ট্রেনটিতে মোট ৫৪৮টি আসন ছিল এবং বিভিন্ন স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠার কথা ছিল। রাজশাহী থেকে আনুমানিক ২০০-২৫০ জন যাত্রী সেই ট্রেনে ঢাকায় গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বরাদ্দ করা বিশেষ ট্রেনটি দেখে অনেকেই অসন্তুষ্ট হন। তারা বনলতা ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের মতো আন্তঃনগর ট্রেন দাবি করেন।
রেল কর্তৃপক্ষ তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও বিক্ষোভকারীরা স্টেশনে রেললাইনের ওপর অবস্থান নেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ট্রেনে উঠে পড়া জুলাইযোদ্ধাদের তুমুল বাগবিতণ্ডা ও ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটে রেললাইন থেকে সরে দাঁড়ান এবং পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়েন।
নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিশেষ ট্রেনটি সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও তা ৮টা ১৩ মিনিটে ছাড়ে। এ দেরির প্রভাব পড়ে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনেও, যা নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট পর, অর্থাৎ সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যায়।
রেলওয়ের রাজশাহী স্টেশন মাস্টার শহীদুল আলম বলেন, ‘যে পরিমাণ ভাড়া তারা দিয়েছেন, সে অনুযায়ী ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা এখন এসে আন্তঃনগর ট্রেন দাবি করছেন। এতে ট্রেন ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। পরে আন্দোলনকারী ৩৫ জনকে সিল্কসিটি এক্সপ্রেসে বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘এই ট্রেনগুলো সরকার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে এসব ট্রেন ভাড়া নেওয়া হয়নি। এটি তাদের বোঝানো হয়েছে।’