আবাসিকে সর্বনিম্ন ৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ, ইউনিটপ্রতি খরচ করতে হয় ৪ টাকা ৬৫ পয়সা এভাবে পর্যায়ক্রমে ছয়টি দাপে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত মূল্য বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট দাম ১৪ টাকা ৬১ পয়সা। এ ছাড়া অফিস-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন শ্রেণিবিশেষের প্রতি ইউনিটে ৭ টাকা ৫৫ পয়সা থেকে ২০ টাকা ১৭ পয়সা পর্যন্ত পরিশোধ করতে হয়। গ্রাহকের ঘাড়ে মিটার চার্জ।
তবে অন্যরকম কিছু ঘটছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটার না দেখে ভূতুড়ে বিলের কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভূতুড়ে বিলের শিকার শত শত গ্রাহক। কারো বিল ১০ হাজার, কারো বিল আট হাজার, কারো বিল আগের মাস থেকে বেশি। এসব দেখে মনে হচ্ছে গরিব ঠকানোই এদের মূল উদ্দেশ্য।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে (অস্বাভাবিক) বিদ্যুৎ বিলে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ বিল পেয়ে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয় অনেকেই।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অবহেলা ও অনিয়মের কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে তোলপাড় চলছে। অনেকেই বলছেন, ‘মনগড়া বিল’ তৈরি করছে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। অভিযোগ রয়েছে, পূর্বের বিল পরিশোধ করার পরও নতুন বিলে সেগুলো বকেয়া হিসেবে যুক্ত করে পুনরায় দাবি করা হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা সিন্দুরখান ইউনিয়নের গুলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা কৃষক ফারুক মিয়া বলেন, আমার বাড়িতে মাত্র তিনজন মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করি। অথচ এবার দ্বিগুণ বিল এসেছে। শুধু আমাদের নয়, আশপাশের এলাকাতেও একই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
ভুনবীর ইউনিয়নের সরকারবাজার গ্রামের বাসিন্দা কৃষক জসীম মিয়াসহ অনেকে জানান, আমরা আগের বিল পরিশোধ করার পরও অতিরিক্ত বিল এসেছে। জসীম মিয়া আরও বলেন, আমার বাড়ির সিসি ফুটেজ দেখা যায়, মিটার যেখানে সেইখানে না গিয়ে বিদ্যুৎ বিল তুলে নিয়ে ওদের ইচ্ছামতো বিদ্যুৎ বিল দেয়। ভুনবীর ইউনিয়নের লইয়াকুল গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস মিয়াসহ আরও অনেকে এই রকম ভুক্তভোগী।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এ বি এম মিজানুর রহমান দিলেন দায়সারা উত্তর। গ্রাহকদের এতবড় ভোগান্তি দিয়ে তাদের কোনো কিছু যায় আসে না। তিনি বলেন, অতিরিক্ত কোনো বিল দেওয়া হয়নি আর মিটার না দেখে যদি বিদ্যুৎ বিল দেয় আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে আমি ব্যবস্থা নেব।

