ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ছাত্রদল নেতা হিজবুল আলম জিয়েস (২৬) ও তার দুই সহযোগীকে ‘টর্চার সেলে’ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই নেতাকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিজবুল আলম জিয়েস, তার সহযোগী রাফি (১৯) ও আব্দুল্লাহ (২১)। জিয়েসকে মঙ্গলবার রাতে এবং অন্য দুই সহযোগীকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়।
তারাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, ‘৮ আগস্ট বিকেলে জিয়েস মাঝিয়ালি বাজারে চুল কাটা সেলুনে টাকা না দিয়ে সেলুন মালিক হক মিয়ার কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মারধর ও সেলুনে তালা লাগিয়ে দেন। হক মিয়ার বড় ভাই লাক মিয়াকেও মারধর করা হয়।’
ঘটনার পর সেলুন বন্ধ থাকলেও ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মামুন সরকারের আশ্বাসে ৯ আগস্ট বিকেলে সেলুন খুলে দেওয়া হয়। তবে সন্ধ্যায় পুনরায় জিয়েস হক মিয়াকে মারধর করেন এবং মামুনকেও আহত করেন।
১১ আগস্ট মামুন সরকার থানায় জিয়েসসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
জিয়েস মাদকাসক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে। মামুন সরকার বলেন, ‘জিয়েস ছাত্রদলের আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড করে আসছিল। চাঁদাবাজি, নির্যাতন, মাদক সেবনসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিল।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে জিয়েসের সহযোগীরা এক যুবককে মারধর করছে ও ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করছে। পরে টাকা দিতে রাজি হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নির্যাতনের শিকাররা জানান, প্রাণের ভয়ে তারা স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তালুকদার জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জিয়েসকে তার পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন