শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম

নির্বিচারে চলছে গাছ কাটা, উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংসের শঙ্কা

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গাছ প্রকৃতির সেই অনন্য উপাদান, যা পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য ও মানবজাতির টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। এটি শুধু অক্সিজেন সরবরাহই করে না, বরং কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ভূমিক্ষয় রোধ ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশকে সুস্থ রাখে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে চট্টগ্রামের আনোয়ারার সিইউএফএল সড়কে নিলামের মাধ্যমে চলছে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে সিইউএফএল সড়কের চাতুরী চৌমুহনী থেকে মেরিন একাডেমি পর্যন্ত সড়কজুড়ে গাছ কাটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিইউএফএল সড়কের প্রায় ১ হাজার ৮৮৫টি গাছ নিলামের মাধ্যমে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এসব গাছ কাটা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশ সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাবেদ বলেন, ‘উন্নয়নের নামে গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংসের এই ধারা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই গাছগুলো শুধু ছায়াই দেয়নি, আমাদের জীবনের নিরাপত্তা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ হোসেন বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সময়ে বন বিভাগের উচিত ছিল বেশি বেশি বনায়ন করা, কিন্তু দেখা যাচ্ছে উল্টো প্রকল্প হাতে নিয়ে প্রাকৃতিক বন উজাড় করছে। এটা লুটপাটের একটি রূপ।’

পরিবেশবাদীরা বলছেন, পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে শতবর্ষী পাহাড়কে ‘টিলা’ আখ্যা দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে কেইপিজেড এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে হাজারো গাছ নিধন করায় হুমকির মুখে পড়েছে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য।

এর আগেও আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকতে একইভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে শত শত ঝাউগাছ কেটে ফেলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, টেন্ডারে দেখানো সংখ্যার চেয়ে বহু বেশি গাছ কেটে নেওয়া হয়, ফলে সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বালুরক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

উপকূলীয় বন্দর বিডের কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রক্রিয়াটি টেন্ডারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। যারা নিলাম পেয়েছেন, তারা নিয়মনীতি মেনে গাছ কাটা শুরু করেছেন।

তবে পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, কাগজে কলমে নিয়ম মেনে হলেও বাস্তবে এই নির্বিচার বৃক্ষনিধন পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!