কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিবন্ধী-বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাৎ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মাইকিং করে প্রতিবাদ করেছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন নারী-পুরুষ মাইকিং করে এ প্রতিবাদে অংশ নেন।
অভিযোগকারীরা জানান, ‘ইউনিয়নের আমজাদ হোসেন মেম্বার দীর্ঘ দুই বছর ধরে তাদের কোনো ভাতার টাকা দিচ্ছে না। ওই ভাতার টাকা মেম্বারের শ্বশুরের মোবাইল নম্বরে যাচ্ছে। সুলতানা নামের এক বৃদ্ধা অভিযোগ করে বলেন, আমি দেড় বছরের মধ্যে মাত্র একবার ভাতা বাবদ টাকা পেয়েছি। এরপর আর কোনো টাকা পাইনি। সমাজসেবা অফিসে গিয়েও কোনো ফল হয়নি। একই এলাকার সুরাতন নেছাসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে মেম্বার তার কাছ থেকে ৫ ও ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমজাদ তাকে ঘর দেননি।’
মেম্বার আমজাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় দৌলতপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাতাভোগীদের মোবাইল নম্বরসংক্রান্ত বিষয়ে অনেক সময় নানা সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে নিজেদের মোবাইল নম্বর না দিয়ে মেয়ের বা ছেলের নম্বর ব্যবহার করেন। ফলে টাকা অ্যাকাউন্টে গেলেও তা অনেক সময় গোপন রাখা হয়। এ ছাড়া, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কমিটি রয়েছে। সুবিধাভোগীরা তাদের মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য তথ্য সেই কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে আমাদের দপ্তরে জমা দেয়। এরপর আমরা প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করে তা ঊর্ধ্বতন দপ্তরে প্রেরণ করি। ওই অঞ্চলে যে ঘটনাটি ঘটেছে, আমরা তা তদন্ত করে দেখব। দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হাই সিদ্দিকী জানান, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন