বগুড়ায় বহুল আলোচিত যুবলীগ নেতা ও পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেহেদি হাসান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার একটি গোপন আস্তানা থেকে আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাকে বগুড়ায় এনে আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সহিংসতা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতা-সংক্রান্ত ২১টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, গত বছর বগুড়ায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ সংঘটিত একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমিনুলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
বিশেষ করে, নিহত কমরউদ্দিন বাঙ্গি, সেলিম ও আব্দুল মান্নান হত্যাকাণ্ডে তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহিন হত্যার মামলাতেও তিনি অভিযুক্ত।
বগুড়ার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল বাছেদ বলেন, ‘আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির ছত্রছায়ায় অপরাধ করে গেছেন। সংগঠিত অপরাধের নেপথ্যে কারিগর হিসেবে তার বিরুদ্ধে শক্ত প্রমাণ রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেওয়া জরুরি।’
আদালতে তোলা হলে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে উপস্থিত জনতা। আদালত প্রাঙ্গণে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ লোকজন ‘ফাঁসি চাই’ স্লোগান তোলে এবং কেউ কেউ আমিনুলের দিকে পচা ডিম নিক্ষেপ করে। পরে নিরাপত্তাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, আমিনুলের গ্রেপ্তার ও রিমান্ড মঞ্জুরের খবরে বগুড়ার রাজনৈতিক অঙ্গণে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তার রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও অপরাধ চক্রের যোগসূত্র বেরিয়ে আসতে পারে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হয়নি সংস্থাটি।