ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫

যমুনার ভাঙনে নৌঘাট নদীতে, ‎আতঙ্কে ৮ গ্রামের মানুষ

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
শিমুলবাড়ি থেকে শহরাবাড়ি পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকা নদীতে তলিয়ে যায়। ছবি-সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনট উপজেলার শহরাবাড়ি ঘাট এলাকায় যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে মুহূর্তের মধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ফসলি জমি।

বুধবার দুপুরে শুরু হওয়া ভাঙনে মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে শিমুলবাড়ি থেকে শহরাবাড়ি পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকা নদীতে তলিয়ে যায়। এতে অন্তত আটটি গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙনের গতি আরও তীব্র হয়েছে। শহরাবাড়ি নৌঘাট এলাকার অন্তত ছয়জন ব্যবসায়ীর দোকান নদীতে তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে অন্যত্র সরে যাচ্ছেন বহু পরিবার।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীভাঙনের এই তাণ্ডবের সামনে তারা একেবারেই অসহায়। ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রোপণ করা ঐতিহাসিক বটগাছটিও, যা বহু বছর ধরে এলাকাবাসীর কাছে একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে পরিচিত ছিল।

অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা একাধিকবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সোহেল রানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি প্রায় এক মিটার বেড়ে গেছে। এতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ক্ষয়রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম তৌহিদুল আলম মামুন। তার সঙ্গে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

এক ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের চোখের সামনে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি সব নদীতে ভেসে যাচ্ছে- কিছুই করার নেই।

ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ ও সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।