চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হক বলেছেন, ‘জুলাই আন্দোলনে যখন মূলধারার টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা নানা চাপের মুখে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তখন মোবাইল জার্নালিজম বা মোজো সাংবাদিকরা প্রযুক্তির সাহায্যে সত্য তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের কাজের মাধ্যমেই আন্দোলনকারীরা তথ্যের ভিত্তিতে আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে পেরেছেন।’
সোমবার (৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘জুলাই আন্দোলনে মোবাইল সাংবাদিকতা: অভিজ্ঞতা শেয়ারিং ও শিখন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম। সঞ্চালনায় ছিলেন মানবজমিনের ব্যুরো প্রধান জালাল রুমি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, প্রেসক্লাব সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক শাহনেওয়াজ রিটন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সিনিয়র রিপোর্টার মিয়া মোহাম্মদ আরিফ প্রমুখ।
প্রশিক্ষক হিসেবে মোবাইল সাংবাদিকতার বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ডেইলি স্টার-এর মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক নাঈমুর রহমান এবং এখন টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদ। প্রশিক্ষণে চট্টগ্রামে কর্মরত ৫০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
মো. শহীদুল হক বলেন, ‘মোবাইল জার্নালিজম এখন সময়ের দাবি। হাতে মোবাইল থাকলেই সাংবাদিকতা করা সম্ভব, তবে কিছু নির্দিষ্ট টুলস ও নৈতিকতা জানা থাকা জরুরি।’
সভাপতির বক্তব্যে মুস্তফা নঈম বলেন, ‘আজকের যুগে সাংবাদিকতা করতে হলে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে হবে। তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের সময় যেমন অফিসে অফিসে যেতে হতো, এখন এক ক্লিকেই তা পাওয়া যায়। তবে পেশাদারিত্বের বিষয়টি কখনো ভুলে গেলে চলবে না।’
অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন যমুনা টিভির শহীদুল হক সুমন, দৈনিক আজকের পত্রিকার আবদুল কাইয়ুম, দৈনিক পূর্বদেশের মনিরুল ইসলাম মুন্না, বার্তা২৪-এর সীরাত মনজুর, দৈনিক আমার দেশের এম কে মনির, দৈনিক কালের কণ্ঠের আরাফাত বিন হাসান এবং সিপ্লাস টিভির ইফতেখার নুর তিশন।
অনুষ্ঠান শেষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আয়োজন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :