যশোর শহরে বাড়ছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা। গত তিন দিনে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন। যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্ট্রার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা এলাকায় অনলাইনে জুয়া খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সাইফুল ইসলাম হিরো (২৮)। গুরুতর অবস্থায় হিরোকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- স্থানীয় ইব্রাহিম বিশ্বাস ও তার ছেলে সাকিব।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, উঠতি বয়সী কিশোর ও তরুণদের গ্যাং-সংস্কৃতি এবং ছুরি বহনের প্রবণতা এখন আতঙ্কে রূপ নিয়েছে।
এদিকে বুধবার ( ১৪ মে) ভোরে শহরের চিত্রা মোড়ে ট্রাকচালক ইউনুস হোসেন (৪৩) ছুরিকাঘাতে আহত হন। ট্রাক থেকে নেমে প্রস্রাব করতে গেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়। পেটে ও হাঁটুর নিচে ছুরিকাঘাতের শিকার এই চালক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে পৌর হকার্স মার্কেটে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত হন সুজন (৩০)। একাধিক দুর্বৃত্ত তার পথ রোধ করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। বাধা দিলে তারা সুজনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
একই দিন দুপুরে বারান্দীপাড়ায় চাঁদার টাকা না পেয়ে হেলাল উদ্দিন (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালায় স্থানীয় তিনজন দুর্বৃত্ত। তিনি প্রাণ বাঁচাতে দোকানে ঢুকে পড়লেও দুর্বৃত্তরা তাকে টেনে বের করে ছুরিকাঘাত করে।
বিকেলে আশ্রম রোডে ছুরিকাঘাতে আহত হন অ্যাম্বুলেন্স চালক কবির হোসেন (২২)। তিনি রিকশায় যাওয়ার সময় গোল্ডেন সাব্বির ও শিপন নামে দুই যুবক তার মাথায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে। কবিরের দাবি, ঘটনাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশে ঘটেছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, ঘটনাগুলো আপাতদৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন হলেও ছুরির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ধরতে বিশেষ অভিযান শিগগির শুরু হবে।
আপনার মতামত লিখুন :