রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম

বৈষম্যবিরোধী কমিটি দেওয়ার শর্তে চাঁদা দাবি, অভিযুক্ত বললেন ‘মজা করেছি’

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যশোর জেলা শাখার সংগঠক মেহেদী হাসান। ছবি- সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যশোর জেলা শাখার সংগঠক মেহেদী হাসান। ছবি- সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা শাখার বিরুদ্ধে উপজেলা কমিটি গঠনের নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মনিরামপুর উপজেলা শাখার কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেছেন, একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের জন্য জেলা পর্যায়ের তিন নেতা তাদের কাছে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

সোমবার (৭ জুলাই) এই অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত জেলা সংগঠক মেহেদী হাসান গণমাধ্যমে বলেন, ‘চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি মজা করে বলা হয়েছে, এটি কোনো সিরিয়াস দাবি ছিল না।’

মনিরামপুর উপজেলা শাখার সদস্য হাসান ইকবাল সানি, শরিফ মাহমুদ ও নাসিমুল বারী সাইমুম জানান, ৩০ জুন সন্ধ্যায় জেলা কমিটির সংগঠক মেহেদী হাসান তাদের ফোনে জানান যে, মনিরামপুর কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা করতে জেলা নেতারা দেখা করবেন।

তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, পরে একটি আট সদস্যের প্রতিনিধি দল যশোর শহরের সিটি প্লাজায় গেলে সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম আকাশ, মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ এবং সংগঠক মেহেদী হাসান।

সিটি প্লাজার ছাদে আলোচনার সময় মেহেদী হাসান কমিটি দেওয়ার শর্ত হিসেবে তাদের কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। তারা জানান, আপত্তি জানালে জেলা নেতারা বলেন, ‘৮০ জনের একটি খসড়া তালিকা আছে, প্রত্যেকে ২ হাজার টাকা দিলে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা হয়ে যাবে।’

তাদের আরও দাবি, জেলা নেতাদের মুখ থেকেই শোনা গেছে স্কুল-কলেজ পর্যায়ের অ্যাডহক কমিটিতেও আহ্বায়ক পদের জন্য ২ লাখ এবং সদস্য পদের জন্য ১ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত অডিও রেকর্ডও তাদের কাছে আছে বলে জানান তারা।

সংগঠক মেহেদী হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সানি, শরিফ ও সাইমুম নিজেরাই আমাদের কাছে যোগাযোগ করেছিল। আড়াই লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল মজা করে এটি কোনো সিরিয়াস চাঁদা দাবি ছিল না।’

তিনি আরও জানান, আলোচনার সময় জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম আকাশ এবং মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহও উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Shera Lather
Link copied!