বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম

বেনাপোলের সেই নবজাতক পেল নতুন ঠিকানা

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম

নবজাতকটিকে তুলে দেওয়া হয় দম্পত্তি সানাউর রহমান ও সুমাইয়ার হাতে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নবজাতকটিকে তুলে দেওয়া হয় দম্পত্তি সানাউর রহমান ও সুমাইয়ার হাতে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার নামাজ গ্রামের হাকড়পাড়ের একটি বাঁশবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধারকৃত নবজাতককে দত্তক নিয়েছেন ঢাকার গুলশান-বাড্ডায় বসবাসকারী নিঃসন্তান ব্যবসায়ী দম্পতি সানাউর রহমান ও সুমাইয়া।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) শার্শা উপজেলা প্রশাসন সানাউর রহমান ও সুমাইয়া নামের দম্পতির হাতে শিশুটিকে হস্তান্তর করে।

এর আগে বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নামাজ গ্রামের হাকড়পাড়ে শিশুটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর ভিড় জমে যায় হাকড়ের নদীর পাড়ে। পরে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বেনাপোল পৌর প্রশাসক ডা. নাজিব হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে নবজাতকটিকে উদ্ধার করেন।

শার্শা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির ভবিষ্যতের জন্য শার্শা উপজেলা প্রশাসন ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। এরপর স্থানীয় পত্রিকায় উদ্ধারকৃত শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য আগ্রহী নিঃসন্তান ব্যক্তিদের আবেদন করতে বলা হয়। সে মোতাবেক ১২ দম্পতি শিশুটিকে নেওয়ার জন্য আবেদন করে।’

তিনি বলেন, ‘যাচাই-বাছাই শেষে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের সানাউর রহমান ও সুমাইয়া দম্পতির কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। তারা বর্তমানে গুলশান-বাড্ডায় বসবাস করেন।’

শিশুটির দত্তকগ্রহণকারী সানাউর রহমান ও সুমাইয়া। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

তৌহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘তাদের আবেদনের পর আর্থিক সচ্ছলতা, সামাজিক অবস্থান ও সন্তান লালন-পালনের সক্ষমতা যাচাই করে আনুষ্ঠানিকভাবে সানাউরের স্ত্রী শিশুটিকে কোলে তুলে নেন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দিপক কুমার সাহা, সমাজসেবা অফিসার তৌহিদুল ইসলাম, বিআরডিপি অফিসার সাকির হোসেন, নারী ও শিশু বিষয়ক অফিসার জাহান ই গুলশান, শার্শা থানার ওসি আব্দুল আলীম, বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫-এর সাধারণ সম্পাদক মো. সহিদ আলী, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ প্রমুখ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিশুটির দত্তকগ্রহণকারী সানাউর রহমান ও সুমাইয়া জানান, তারা ১৫ বছর আগে বিবাহ করেছেন। তাদের আজও কোনো সন্তান হয়নি। এ জন্য পত্রিকায় খবর শুনে শিশুটিকে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।

এই দম্পতি আরও জানান, তারা শিশুটিকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন। এখন থেকে এ শিশুর বাবা ও মা আমরা দুজন। তারা শিশুটিকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের দোয়া কামনা করেছেন।

Link copied!